পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈরাগ্য ૨૭ જ প্রতিই আমাদের বহন করে, রোধ করে না। তখন যে আনন্দ সেই আনন্দই প্রেম। সেই প্রেমে বেঁধে রাখে না ; সেই প্রেমে টেনে নিয়ে যায়। নির্মল নির্বাধ প্রেম। সেই প্রেমই মুক্তি— সমস্ত আসক্তির মৃত্যু। এই মৃত্যুরই সৎকার-মন্ত্র হচ্ছে— মধুবাতা ঋতীয়তে মধু ক্ষরস্তি সিন্ধবঃ মাধবীর্ন সত্ত্বোষধীঃ । মধু নক্তম উতোষসে মধুমং পার্থিবং রজঃ মধুমান্নো বনস্পতির্মধূমাং অস্তু স্বৰ্ষ । বায়ু মধু বহন করছে, নদীসিন্ধুসকল মধু ক্ষরণ করছে। ওষধিবনস্পতিসকল মধুময় হোক, রাত্রি মধু হোক, উষা মধু হোক, পৃথিবীর ধূলি মধুমং হোক, স্বর্য মধুমান হোক। যখন আসক্তির বন্ধন ছিন্ন হয়ে গেছে তখন জল স্থল আকাশ, জড় জন্তু মহন্ত, সমস্তই অমৃতে পরিপূর্ণ— তখন আনন্দের অবধি নেই। আসক্তি আমাদের চিত্তকে বিষয়ে আবদ্ধ করে। চিত্ত যখন সেই বিষয়ের ভিতরে বিষয়াতীত সত্যকে লাভ করে তখন প্রজাপতি যেমন গুটি কেটে বের হয় তেমনি সে বৈরাগ্য-দ্বারা আসক্তিবন্ধন ছিন্ন করে ফেলে। আসক্তি ছিন্ন হয়ে গেলেই পূর্ণ স্বন্দর প্রেম আনন্দরূপে সর্বত্রই প্রকাশ পায়। তখন ‘আনন্দরূপমমৃতং যদবিভতি’ এই মন্ত্রের অর্থ বুঝতে পারি। যা-কিছু প্রকাশ পাচ্ছে সমস্তই সেই আনন্দরূপ, সেই অমৃতরূপ। কোনো বস্তুই তখন “আমি প্রকাশ হচ্ছি বলে আর অহংকার করে না ; প্রকাশ হচ্ছেন কেবল আনন্দ, কেবল আনন্দ । সেই প্রকাশের মৃত্যু নেই। মৃত্যু অন্য সমস্তের, কিন্তু সেই প্রকাশই অমৃত। به لاو لا tة Rمة ه لا