পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज९इब्रण ३३é ব’লে কোমর বেঁধে বক্ষ প্রসারিত করে প্রবৃত্ত হতে পারি সেটুকুও ঘদি আমাদের ভিতর থেকে ক্ষীয়ে গিয়ে থাকে তবে বড়ো বিপদ। যেমন করে হোক, বারম্বার স্খলিত হয়েও সেই-সমস্ত শক্তিকে একাগ্র করবার চেষ্টাকে শক্ত করে তুলতে হবে। শিশু যেমন পড়তে পড়তে, আঘাত পেতে পেতে, চলতে শেখে, তেমনি করেই তাকে চলতে শেখাতে হবে। কেননা, সিদ্ধিলাভে প্রথমে লক্ষ্যটা যে সত্য সেই বিশ্বাসটি জাগানে৷ চাই ; তার পরে লক্ষ্যটি বাইরে না ভিতরে, পরিধিতে না কেন্দ্রে, সেটি জানা চাই ; তার পরে চাই সোজা পথ বেয়ে চলতে শেখা। স্থৈর্ব এবং গতি দুই চাই । বিশ্বাসে চিত্ত স্থির হবে, এবং সাধনায় চেষ্টা গতি লাভ করবে। ১৬ ফাল্গুন ১৩১৫ नििर्छ| যখন সিদ্ধির মূর্তি কিছু পরিমাণে দেখা দেয় তখন আনন্দে আমাদের আপনি টেনে নিয়ে চলে— তখন থামায় কার সাধ্য ? তখন শ্রাস্তি থাকে না, দুর্বলতা থাকে না । কিন্তু, সাধনার আরম্ভেই সেই সিদ্ধির মূর্তি তো নিজেকে এমন করে দূর থেকেও প্রকাশ করে না। অথচ পথটিও তো স্বগম পথ নয়। চলি কিসের জোরে ? এই সময়ে আমাদের চালাবার ভার যিনি নেন তিনিই নিষ্ঠ । ভক্তি যখন জাগে, হৃদয় যখন পূর্ণ হয়, তখন তো আর ভাবনা থাকে না, তখন তো পথকে আর পথ বলেই জ্ঞান হয় না ; তখন একেবারে উড়ে চলি। কিন্তু, ভক্তি যখন দূরে, হৃদয় যখন শূন্ত, সেই অত্যন্ত দুঃসময়ে আমাদের সহায় কে ? S & I