পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बिर्छ। ३२१* পাণ্ডুরতার মধ্যে মধুফলগুচ্ছপূর্ণ খর্জুরকুঞ্জের স্বস্নিগ্ধ খামলতা । সেই নিভৃত ছায়াতলে শীতল জলের উৎস বয়ে যাচ্ছে। সেই জল পান ক’রে, তাতে স্নান ক’রে, ছায়ায় বিশ্রাম ক’রে আবার পথে যাত্রা করি । কিন্তু, ভক্তির সেই মধুরতা, সেই শীতল সরসতা তো বরাবর সঙ্গে সঙ্গে চলে না। তখন আবার সেই কঠিন শুষ্ক অশ্রাস্ত নিষ্ঠ । তার একটি গুণ আছে, ভক্তির জল যদি সে কোনো স্বযোগে একদিন পান করতে পায় তবে সে অনেক দিন পর্যন্ত তাকে ভিতরের গোপন আধারে জমিয়ে রাখতে পারে। ঘোরতর নীরসতার দিনেও সেই তার পিপাসার সম্বল । l সাধনায় যাকে পাওয়া যায় তার প্রতি ভক্তিকেই আমরা ভক্তি বলি, কিন্তু নিষ্ঠা হচ্ছে সাধনারই প্রতি ভক্তি। এই কঠোর কঠিন শুষ্ক সাধনাই হচ্ছে নিষ্ঠার প্রাণের ধন। এতে তার একটি গভীরতর আনন্দই আছে। সে একটি অহেতুক পবিত্র আনন্দ। এই বজ্রসার আনন্দে সে নৈরাশুকে দূরে রেখে দেয়, সে মৃত্যুকেও ভয় করে না। এই আমাদের মরুপথের একমাত্র সঙ্গিনী নিষ্ঠ যেদিন পথের অন্তে এসে পৌছোয় সেদিন সে ভক্তির হাতে আমাদের সম্পূর্ণ সমর্পণ করে দিয়ে নিজেকে তার দাসীশালায় লুকিয়ে রেখে দেয় ; কোনো অহংকার করে না, কোনো দাবি করে না— সার্থকতার দিনে আপনাকে অন্তরালে প্রচ্ছন্ন করেই তার স্বখ । s१ कांस्तुन নিষ্ঠার কাজ নিষ্ঠ যে কেবল আমাদের শুষ্ক কঠিন পথের উপর দিয়ে অক্লাভ অধ্যবসায়ে চালন করে নিয়ে যায় তা নয়, সে আমাদের কেবলই সতর্ক