পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 निर्छांब्र कांछ 聊顿 ૨૨મ নিজেকে একটু বেশি করে বাড়িয়ে দেখাবার জন্তে তোমার চেষ্ট আছে। ওই-যে শক্রতার কাটা তোমার স্মৃতিতে বিধেই রইল ! কেন, হঠাৎ গোপনে তোমার এত ক্ষোভ দেখি কেন ! এই-যে রাত্রে গুতে যাচ্ছ এই পবিত্র নির্মল নিদ্রার কক্ষে প্রবেশ করতে যাবার মতো শাস্তি তোমার অস্তরে কোথায় ? 를 সাধনার দিনে নিষ্ঠার এই নিত্য সতর্কতার স্পর্শই আমাদের সকলের চেয়ে প্রধান আনন্দ । এই নিষ্ঠা যে জেগে আছেন এইটে যতই জানতে পাই ততই বক্ষের মধ্যে নির্ভর অনুভব করি। যদি কোনোদিন কোনো আত্মবিস্মৃতির দুর্যোগে এর দেখা না পাই তবেই বিপদ গণি। যখন চরম স্বহৃদকে না পাই তখন এই নিষ্ঠাই আমাদের পরমস্বহরূেপে থাকেন। তার কঠোর মূর্তি প্রতিদিন আমাদের কাছে শুভ্র সৌন্দর্ধে মণ্ডিত হয়ে ওঠে। এই চাঞ্চল্যবর্জিত ভোগবিরত পুণ্যত্র তাপসিনী আমাদের রিক্ততার মধ্যে শক্তি শাস্তি এবং জ্যোতি বিকীর্ণ করে দারিদ্র্যকে রমণীয় করে তোলেন । গম্য স্থানের প্রতি কলম্বসের বিশ্বাস যখন স্বরূঢ় হল তখন নিষ্ঠাই তাকে পথচিহ্নহীন অপরিচিত সমুদ্রের পথে প্রত্যহ ভরসা দিয়েছিল। তার নাবিকদের মনে সে বিশ্বাস দৃঢ় ছিল না, তাদের সমুদ্রযাত্রায় নিষ্ঠাও ছিল না। তারা প্রতিদিনই বাইরে থেকে একটা-কিছু সফলতার মূর্তি দেখবার জন্যে ব্যস্ত ছিল ; কিছু-একটা না পেলে তাদের শক্তি অবসন্ন হয়ে পড়ে ; এইজন্তে দিন যতই যেতে লাগল, সমুত্র যতই শের হয় না,তাদের অধৈর্য ততই বেড়ে উঠতে থাকে। তারা বিদ্রোহ করবার উপক্রম করে, তারা ফিরে যেতে চায়। তৰু কলম্বসের নিষ্ঠ বাইরে থেকে কোনো নিশ্চয়চিহ্ন না দেখতে পেয়েও নিঃশব্দে চলতে থাকে। কিন্তু, এমন হয়ে এসেছে, নাবিকদের আর ঠেকিয়ে রাখা যায় মা, তার জাহাজ ফেরায় বা। এমন সময় চিহ্ন দেখা দিল, তীয় ষে জাছে তার