পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিমুখত৷ ২৬৯ | প্রতিদিনই প্রতি মুহূর্তেই कार्ष कबाइन। डिबि चांभांग्र औषrमब्र একটি সূর্বকরোজ্জল দিনকে চন্দ্ৰতারাখচিত রাত্রির সঙ্গে গাখছেন, আবার সেই জ্যোতিষপুঞ্জখচিত রাত্রিকে জ্যোতির্ময় আর-একটি দিনের সঙ্গে গেথে চলেছেন । আমার এই জীবনের মণিহার-রচনায় তার বড়ো গমনা। আমি যদি তার সঙ্গে যোগ দিতুম তবে সেই আনন্দ আমারও স্থত। এই আশ্চর্য শিল্প-রচনায় কত ছিদ্র করতে হচ্ছে, কত বিদ্ধ করতে হচ্ছে, কত দগ্ধ করতে হচ্ছে, কত আঘাত করতে হচ্ছে— সেই-সমস্ত আঘাতের মধ্যেই বিশ্বকৰ্মার স্বজনের আনন্দে আমার অধিকার জন্মাত । কিন্তু, যে অস্তরের গুহার মধ্যে আনন্দিত বিশ্বকর্ম দিনরাত্রি বসে কাজ করছেন সে দিকে আমি তো তাকালুম না ; আমি সমস্ত জীবন বাইরের দিকেই স্থা করে তাকিয়ে রইলুম। দশ জনের সঙ্গে মিলছি মিশছি, হাসি গল্প করছি, আর ভাবছি কোনোমতে দিন কেটে যাচ্ছে— যেন দিনটা কাটানোই হচ্ছে দিনটা পাবার উদ্দেশ্য। যেন দিনের কোনো অর্থ নেই। আমরা যেন মানবজীবনের নাট্যশালায় প্রবেশ করে ষে দিকে অভিনয় হচ্ছে সে দিকে মূঢ়ের মতো পিঠ ফিরিয়ে বসে আছি। নাট্যশালার থামগুলো চৌকিগুলো এবং লোকজনের ভিড়ই দেখছি। তার পরে যখন আলো নিবে গেল, যবনিক পড়ে গেল, আর-কিছুই দেখতে পাই নে, অন্ধকার নিবিড়— তখন হয়তো নিজেকে জিজ্ঞাসা করি, কী করতে এসেছিলুম, কেনই বা টিকিটের দাম দিলুম, এই খাম-চৌকির অর্থ কী, এতগুলো লোকই বা এখানে জড়ো হয়েছে কী করতে ? সমস্তই ফাকি, সমস্তই অর্থহীন ছেলেখেলা। হায়, আনন্দের অভিনয় যে নাট্যমঞ্চে হচ্ছে সে দিকের কোনো খবরই পাওয়া গেল না। । জীবনের আনন্দলীল যিনি করছেন তিনি যে এই ভিতরে বসেই