পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭૨ . শাস্তিনিকেতন স্থরছেন— ওই খাম-চৌকিগুলো যে বহিরঙ্গ মাত্র। ওইগুলিই প্রধান সামগ্রী নয়। একবার অস্তরের দিকে চোখ ফেরাও ; তখনই সমস্ত মানে বুঝতে পারবে। ষে কাগুটা হচ্ছে সমস্তই যে অস্তরে হচ্ছে। এই-যে অন্ধকার কেটে গিয়ে এখনই ধীরে ধীরে সূর্যোদয় হচ্ছে, এ কি কেবলই তোমার বাইরে ? বাইরেই যদি হত তবে তুমি সেখানে কোন দিক দিয়ে প্রবেশ করতে ? বিশ্বকর্ম যে তোমার চৈতন্যাকাশকে এই মুহূর্তে একেবারে অরুণরাগে প্লাবিত করে দিলেন। চেয়ে দেখো তোমারই অস্তরে তরুণ সূর্য সোনার পদ্মের কুঁড়ির মতো মাথা তুলে উঠছে, একটু একটু ক’রে জ্যোতির পাপড়ি চারি দিকে ছড়িয়ে দেবার উপক্রম করছে— তোমারই অন্তরে । এই তো বিশ্বকৰ্মার আনন্দ । তোমারই এই জীবনের জমিতে তিনি এত সোনার স্বতো, রুপোর স্বতো, এত রঙবেরঙের স্থতো দিয়ে অহরহ এত বড়ো একটা আশ্চর্য বুনানি বুনছেন, এ যে তোমার ভিতরেই— যা একেবারে বাইরে সে যে তোমার बश्च । তবে এখনই দেখো । 鲇 এই প্রভাতকে তোমারই অন্তরের প্রভাত বলে দেখো, তোমারই চৈতন্তের মধ্যে র্তার আনন্দ-স্বষ্টি বলে দেখো । এ আর কারও নয়, এ আর কোথাও নেই— তোমার এই প্রভাতটি একমাত্র তোমারই মধ্যে রয়েছে এবং সেখানে একলামাত্র তিনিই রয়েছেন । তোমার এই স্থগভীর নির্জনতার মধ্যে, তোমার এই অন্তহীন চিদাকাশের মধ্যে, তার এই অদ্ভুত বিরাট লীলা— দিনে রাত্রে অবিশ্রাম। এই আশ্চর্য প্রভাতের দিকে পিঠ ফিরিয়ে একে কেবলই বাইরের দিকে দেখতে গেলে এতে আনন্দ পাবে না, অর্থ পাবে না। যখন আমি ইংলণ্ডে ছিলুম আমি তখন বালক। লগুন থেকে কিছু দুরে এক জায়গায় আমার নিমন্ত্রণ ছিল। আমি সন্ধ্যার সময়