পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মরণ . 蘇 ঈশ্বরের সঙ্গে খুব একটা শৌখিন রকমের ক্টোগ রক্ষা করার মংলৰ মানুষের দেখতে পাই । যেখানে যা যেমন আছে তা ঠিক সেইরকম রেখে সেইসঙ্গে আমনি ঈশ্বরকেও রাখবার চেষ্টা। তাতে কিছুই নাড়ানাড়ি করতে হয় না। ঈশ্বরকে বলি, ‘তুমি ঘরের মধ্যে এসো, কিন্তু সমস্ত বঁচিয়ে এসো— দেখে আমার কাচের ফুলদানিটা যেন না পড়ে। যায়, ঘরের নানা স্থানে যে নানা পুতুল সাজিয়ে রেখেছি তার কোনোট যেন ঘা লেগে ভেঙে না যায়। এ আসনটায় বোসো না, এটাতে আমার অমুক বসে ; এ জায়গায় নয়, এখানে আমি অমুক কাজ করে থাকি ; এ ঘর নয়, এ আমার অমুকের জন্যে সাজিয়ে রাখছি। এই করতে করতে সব চেয়ে কম জায়গা এবং সব চেয়ে অনাবশুক স্থানটাই আমরা তার জন্যে ছেড়ে দিই। মনে আছে আমার পিতার কোনো ভূত্যের কাছে ছেলেবেলায় আমরা গল্প শুনেছি যে, সে যখন পুরীতীর্থে গিয়েছিল তার মহা ভাবনা পড়েছিল জগন্নাথকে কী দেবে। তাকে যা দেবে সে তো কখনো সে আর ভোগ করতে পারবে না, সেইজন্য সে যে জিনিসের কথাই মনে করে কোনোটাই তার দিতে মন সরে না— যাতে তার অল্পমাত্রও লোভ আছে সেটাও চিরদিনের মতো দেবার কথায় মন আকুল করে তুলতে লাগল। শেষকালে বিস্তর ভেবে সে জগন্নাথকে বিলিতি বেগুন দিয়ে এল। এই ফলটিতেই সে লোকের সব চেয়ে কম লোভ ছিল । আমরাও ঈশ্বরের জন্তে কেবলমাত্র সেইটুকুই ছাড়তে চাই যেটুকুতে আমাদের সব চেয়ে কম লোভ— যেটুকু আমাদের নিতান্ত উত্তের উৰ্বেত্ত। ঈশ্বরের নাম-গাথা ঘটো-একটা মন্ত্র পাঠ কয় গেল, ছুটি-একটি