পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇ\రి\ు \ শাস্তিনিকেতন ,সংগীত শোনা গেল, যারা বেশ ভালো বক্তৃতা করতে পারেন তাদের কাছ থেকে নিয়মিত বক্তৃতা শোনা গেল। বললুম, বেশ হল, বেশ লাগল, মনটা এখন বেশ পবিত্র ঠেকছে— আমি ঈশ্বরের উপাসনা করলুম।" একেই আমরা বলি উপাসনা । যখন বিদ্যার ধনের বা মানুষের উপাসনা করি তখন সেটা এত সহজ উপাসনা হয় না। তখন উপাসন যে কাকে বলে তা বুঝতে বাকি থাকে না। কেবল ঈশ্বরের উপাসনাটাই হচ্ছে উপাসনার মধ্যে সব চেয়ে ফাকি। এর মানে আর-কিছুই নয়, নিজের অংশটাকেই সব চেয়ে বড়ো করে ঘের দিয়ে নিয়ে ঈশ্বরকে এক পাই অংশের শরিক করি এবং মনে করি ‘আমার সকল দিক রক্ষা হল’ । , w আমাদের দেশে একটা কথা প্রচলিত আছে : যা স্বয়লোকসাধনী তস্থতৃতাং স চাতুরী চাতুরী। যাতে দুই লোকেরই সাধন হয় মানুষের সে চাতুরীই চাতুরী। কিন্তু, যে চাতুরী দুই লোক রক্ষার ভার নেয় শেষকালে সে ওই দুই লোকের মধ্যে একটা লোকের কথা ভুলতে থাকে, তার চাতুরী ঘুচে যায়। যে লোকটি আমার দিকের লোক অধিকাংশ স্থলে সেই দিকের সীমানাই অজ্ঞাতসারে এবং জ্ঞাতসারে বেড়ে চলতে থাকে। ঈশ্বরের জন্তে ওই-ষে এক পাই জমি রেখেছিলুম, যদি তাতে কোনো পদার্থ থাকে, যদি সেটা নিতান্তই বালিচাপ মরুভূমি না হয়, তবে একটু একটু করে লাঙল ঠেলে ঠেলে সেটা আত্মসাৎ করে নেবার চেষ্টা করি । ‘আমি জিনিসটা যে একটা মন্ত পাথর, তার ভার যে ভয়ানক ভার। যে দিকটাতে সেই আমিটাকে চাপাই সেই দিকটাতেই যে ধীরে ধীরে সমস্তটাই কৰ্ণত হয়ে পড়তে চায়। যদি রক্ষা পেতে চাও তবে ওইটেকেই একেবারে জলের মধ্যে ফেলে দিতে পারলেই ভালো হয়। আসল কথা, সবটাই যদি ঈশ্বরকে দিতে পারি তা হলেই দুই লোক