পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মরণ . moፃ রক্ষা হয়, চাতুরী করতে গেলে হয় না। তার মধ্যেই দুই লোক আছে। তার মধ্যেই যদি আমাকে পাই, তবে একসঙ্গেই তাকেও পাই আমাকেও পাই। আর, তার সঙ্গে যদি ভাগ বিভাগ করে, সীমানা টেনে, পাক৷ দলিল ক’রে নিয়ে কাজ চালাতে চাই, তা হলে সেটা একেবারেই পাক৷ কাজ হয় না— সেটা বিষয়কর্মের নামান্তর হয়। বিষয়কর্মের ষে গতি, তারও সেই গতি ; অর্থাৎ তার মধ্যে নিত্যতার লক্ষণ নেই,তার মধ্যে বিকার আসে এবং ক্রমে মৃত্যু দেখা দেয়। . . . . . . ওসমস্ত চাতুর ছেড়ে দিয়ে ঈশ্বরকে সম্পূর্ণই আত্মসমর্পণ করতে হবে, এই কথাটাকেই পাকা করা যাক। আমার দুইয়ে কাজ নেই, আমার একই ভালো। আমার অন্তরাত্মার মধ্যে একটি সতীর লক্ষণ আছে, সে চতুরা নয় ; সে যথার্থই দুইকে চায় না, সে এককেই চায়। যখন সে এককে পায় তখনই সে সমস্তকেই পায় । একাগ্র হয়ে সেই একের সাধনাই করব, কিন্তু কঠিন সংকট এই যে, আজ পর্যন্ত সে জন্যে কোনো আয়োজন করা হয় নি। সেই পরমকে বাদ দিয়েই সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়ে গেছে। জীবন এমনি ভাবে তৈরি হয়ে গেছে যে, কোনোমতে ঠেলেক্ট্রলে তাকে জায়গা করে দেওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে এসেছে। পৃথিবীতে আর-সমস্তই গোজামিলন দেওয়া যায়, যেখানে পাচ জনের বন্দোবস্ত সেখানে ছ জনকে ঢুকিয়ে দেওয়া খুব বেশি শক্ত নয়। কিন্তু, তার সম্বন্ধে সেরকম গোজামিলন চালাতে গেলে একেবারেই চলে না। তিনি পুনশ্চ নিবেদন’এর সামগ্রী নন। তার কথা যদি গোড়া থেকে ভুলেই থাকি তবে গোড়াগুড়ি সে ভুলটা সংশোধন না করে নিলে উপায় নেই। যা হয়ে গেছে তা হয়ে গেছে, এখন আমনি এক রকম করে কাজ সেরে নেও, এ কথা তার সম্বন্ধে কোনোমতেই খাটবে না। .