পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૬* শান্তিনিকেতন , ‘. কিছু বাদ দিতে মন সরে না। সেইজন্যে মনের মধ্যে ষে চতুর হিসাবি কানে কলম গুজে বসে আছে সে কেবলই পরামর্শ দিচ্ছে, কিছু বাদ দেবার দরকার নেই, এরই মধ্যে কোনো রকম করে ঈশ্বরকে একটুখানি জায়গা করে দিলেই হবে। না, তা হবে না, তার চেয়ে অসাধ্য আর-কিছুই হতে পারে না। তবে কী করী কর্তব্য ? একবার সম্পূর্ণ মরতে হবে— তবেই নূতন করে ভগবানে জন্মানে ৰাবে। একেবারে গোড়াগুড়ি মরতে হবে। এটা বেশ করে জানতে হবে, যে জীবন আমার ছিল সেটা সম্বন্ধে আমি মরে গেছি। আমি সে লোক নই, আমার যা ছিল তার কিছুই নেই। আমি ধনে মরেছি, খ্যাতিতে মরেছি, আরামে মরেছি, আমি কেবলমাত্রই ভগবানে বেঁচেছি। নিতান্ত সদ্যোজাত শিশুটির মতে। নিরুপায় অসহায় অনাবৃত হয়ে তার কোলে জন্মগ্রহণ করেছি। তিনি ছাড়া আমার আর-কিছুই নেই। তার পরে তার সন্তানজন্ম সম্পূর্ণভাবে শুরু করে দাও, কিছুর পরে কোনো মমতা রেখে না। পুনর্জন্মের পূর্বে এখন সেই মৃত্যুবেদনা। যাকে নিশ্চিত চরম বলে, অত্যন্ত সত্য বলে জেনেছিলুম, একটি একটি করে, একটু একটু ক’রে তার থেকে মরতে হবে। এসে মৃত্যু, এসো— এসে অমৃতের দূত, এসো— এসে অপ্রিয় বিরস তিক্ত এসে গো অশ্রুসলিলসিক্ত, এসে গো ভূষণবিহীন রিক্ত, এসো গো চিত্তপাবন । এসে গো পরম দুঃখনিলয়, জাশ-অঙ্কুর করহ বিলয় ;