পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झढण ૨8૭ সাধক তেমনি যখন নিজের ভিতরে নিজের অমরত্বকে লাভ করতে থাকেন, সেখানটি যখন স্বধৃঢ় স্বসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে, তখন তার বাইরের পদার্থটি ক্রমশই শিথিল হয়ে আসতে থাকে— তখন তার লাভটা হয় ভিতরে, আর দানটা হয় বাইরে। o তখন তার ভয় নেই, কেননা তখন তার বাইরের ক্ষতিতে র্তার ভিতরের ক্ষতি হয় না। তখন শাসকে অঁাটি আঁকড়ে থাকে না ; শাস কাটা পড়লে অনাবৃত আঁটির মৃত্যুদশা ঘটে না। তখন পাখিতে যদি ঠোকরায় ক্ষতি নেই, ঝড়ে যদি আঘাত করে বিপদ নেই, গাছ যদি শুকিয়ে যায় তাতেও মৃত্যু নেই। কারণ, ফল তখন আপন অমরত্বকে আপন অস্তরের মধ্যে নিশ্চিতরূপে উপলব্ধি করে, তখন সে “অতিমৃত্যুমেতি’। তখন সে আপনাকে আপনার নিত্যতার মধ্যেই সত্য বলে জানে— অনিত্যতার মধ্যেই নিজেকে সে নিজে ব’লে জানে না, নিজেকে সে শাস বলে জানে না, খোসা বলে জানে না, বোটা বলে জানে না, সুতরাং ওই শাস খোসা বোটার জন্যে তার আর কোনো ভয় ভাবনাই নেই। 幽 এই অমৃতকে নিজের মধ্যে বিশেষরূপে লাভ করার অপেক্ষা আছে। সেইজন্যেই উপনিষৎ বারম্বার বলেছেন, অমরতাকে লাভ করার একটি বিশেষ অবস্থা আছে— য এতদবিদুর মৃত্যস্তে ভবস্তি । , ভিতরে যখন সেই অমৃতের সঞ্চার হয় তখন আমরাত্মা বাইরেকে আর একান্তরূপে ভোগ করতে চায় না। তখন, তার যা গন্ধ, যা বর্ণ, যা রস, যা আচ্ছাদন তাতে তার নিজের কোনো প্রয়োজন নেই ; সে এ-সমস্তের মধ্যেই নিহিত থেকে একান্ত নির্লিপ্ত, এর ভালোমন্দ তার ভালোমন্দ আর নয়, এর থেকে সে কিছুই প্রার্থনা করে না। । তখন ভিতরে সে লাভ করে, বাইরে সে দান করে ; ভিতরে তার দৃঢ়তা, বাইরে তার কোমলতা ; ভিতরে সে নিত্যসত্যের, বাইরে সে