পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ 8૭ শাস্তিনিকেতন উঠছে, নদী বইছে তো বইছে, গাছপালা বাড়ছে তো বাড়ছে, প্রতিদিনের কাজ নিয়মমত চলছে তো চলছে। সেইজন্যে এমন কোনো দৃপ্ত দেখতে ইচ্ছা করি যা প্রতিদিন দেখি নে, এমন কোনো ঘটনা জানতে কৌতুহল হয় যা আমাদের অভ্যস্ত ঘটনার সঙ্গে মেলে না। কিন্তু, সত্যকে যখন জানি তখন আমাদের আত্মা পরিতৃপ্ত হয়। সত্য চিরনবীন, তার রস অক্ষয় । সমস্ত ঘটনাবলীর মাঝখানে সেই অন্তরতম সত্যকে দেখলে দৃষ্টি সার্থক হয়। তখন সমস্তই মহত্বে বিস্ময়ে আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। {} 亨 এইজন্যেই আমাদের ধ্যানের মন্ত্রে আমরা প্রতিদিন অন্তত একবার সমস্ত বিশ্বব্যাপারের মাঝখানে বিশ্বের যিনি পরমসত্য তাকে ধ্যান করবার চেষ্টা করে থাকি। ঘটনাপুঞ্জের মাঝখানে যিনি এক মূলশক্তি তাকে দর্শন করবার জন্যে দৃষ্টিকে অস্তরে ফেরাই। তখন দৃষ্টি থেকে জড়ত্বের আবরণ ঘুচে যায় ; জগৎ একটা যন্ত্রের মতো আমাদের অভ্যাসের কক্ষ জুড়ে পড়ে থাকে না ; প্রতি মুহূর্তেই এই অনন্ত আকাশব্যাপী প্রকাও প্রকাশ একটি জ্ঞানময় সত্য হতে নিঃস্থত হচ্ছে, বিকীর্ণ হচ্ছে —ইহাই অনুভব করে আমাদের চেতনা পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তখন অগ্নি জল ওষধি বনম্পতির মাঝখানে দাড়িয়ে বলতে পারি, অনস্ত জ্ঞান, অনন্ত ব্ৰহ্ম, সর্বত্রই আনন্দরূপে অমৃতরূপে র্তার প্রকাশ । অগণ্য ঘটনাকে অগণ্য ঘটনারূপে দেখেই চলে যাব না ; তার মাঝখানে অনন্ত সত্যকে স্থির হয়ে স্তন্ধ হয়ে দেখব, এইজন্যেই আমাদের ধ্যানের মন্ত্র গায়ত্ৰী । ওঁ ভূত্বভুব স্বঃ তৎসবিতুৰ্বরেণ্যং ভর্গোদেবস্ত ধীমহি ধিয়োষোন: প্রচেীদয়াৎ । * ভূলোক, ভুবলোক, স্বলোক, ইহাই যিনি নিয়ত স্থষ্টি করছেন, সেই