পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যকে দেখা দেবতার বরণীয় শক্তিকে ধ্যান করি— যিনি আমাদের ধীশক্তিকেও নিয়ত প্রেরণ করছেন । 驟 s ه ده د 2BG ما স্বষ্টি এই-ষে আমরা কয়জন প্রাতঃকালে এইখানে উপাসনা করতে বসি, এও একটি স্বষ্টি। এর মাঝখানেও সেই সবিতা আছেন। আমরা বলে থাকি, এটা এইরকম হয়ে উঠেছে । আমরা দু-চার জনে পরামর্শ করলুম, তার পরে একত্র হয়ে বসলুম, তার পরে রোজ রোজ এইরকম চলে আসছে । ঘটনা এই বটে, কিন্তু সত্য এই নয়। ঘটনার দিক থেকে দেখলে এ একটি সামান্য ব্যাপার, কিন্তু সত্যের দিক থেকে দেখলে এ বড়ো আশ্চর্য, প্রতিদিনই আশ্চর্য । সত্য মাঝখানে এসে নানা অপরিচিতকে নান৷ দিক থেকে টেনে এই একটি উপাসনামগুলী নিরস্তর স্বষ্টি করছেন । আমরা মনে করছি আমরা এখানে খানিকক্ষণের জন্তে বসে কাজ সেরে তার পরে অন্ত কাজে চলে গেলুম, বাস চুকে গেল— কিন্তু, এ তে৷ ছোটো ব্যাপার নয়। আমরা যখন পড়ছি, পড়াচ্ছি, খাচ্ছি, বেড়াচ্ছি, তখনও এই আমাদের মণ্ডলীটির স্বষ্টিকর্তা এরই স্থষ্টিকার্ষে রয়েছেন। সেই “জনানাং হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট: বিশ্বকর্ম। আমাদের মধ্যে কাজ করে চলেছেন, তিনি আমাদের এই কয়জন ভিন্ন ভিন্ন লোকের মনে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এর উপকরণ সাজিয়ে তুলছেন। তার যেন আর অন্য কোনো কাজ নেই, বিশ্বস্বষ্টি তার যত বড়ো কাজ এও যেন তার তত বড়োই কাজ । আমাদের এই উপাসনালোকটি কেবলই হচ্ছে, হচ্ছে, হয়ে উঠছে— দিনরাত, দিনরাত। আমরা যখন ঘুমোচ্ছি তখনও হচ্ছে, আমরা যখন