পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ઉ ૭ o , শান্তিনিকেতন মধ্যে সত্যও নেই, গৌরবও নেই। ষে দেশে আমাদের টাকা চলে ন৷ সেই দেশে এখানকার টাকার বোঝাটাকে জঞ্জালের মতো মাটিতে ফেলে দেওয়ার মধ্যে ঔদার্ধ কিছুই নেই। কোনো প্রকারে সংসারকে যদি একেবারেই অলীক বলে নিজের কাছে যথার্থই সপ্রমাণ করতে পারি তা হলে ধন জন মান তো মন থেকে খসে পড়ে একেবারে শূন্যের মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে। কিন্তু, সেরকম ছেড়ে দেওয়া, ফেলে দেওয়া, নিতান্তই একটা রিক্ততা মাত্র। সে যেন স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার মতো— যা ছিল না তাকেই চমকে উঠে নেই বলে জানা । বস্তুত, সংসার তো মিথ্যা নয়, জোর করে তাকে মিথ্যা বলে লাভ কী ? যিনি গেলেন তিনি গেলেন বটে, কিন্তু সংসারে তো ক্ষতির কোনো লক্ষণই দেখি নে। সূর্যালোকে তো কোনো কালিমা পড়ে নি, আকাশের নীল নির্মলতায় মৃত্যুর চাকা তো ক্ষতির একটি রেখাও কাটতে পারে নি, অফুরান সংসারের ধারা আজও পূর্ণ বেগেই চলেছে। তবে অসত্য কোনটা ? এই সংসারকে আমার ব’লে জানা। এর একটি স্বচ্যগ্রবিন্দুকেও আমার বলে আমি ধরে রাখতে পারব না। যে ব্যক্তি চিরজীবন কেবল ওই আমার উপরেই সমস্ত জিনিসের প্রতিষ্ঠা করতে চায়, সেই বালির উপরে ঘর বাধে। মৃত্যু যখন ঠেলা দেয় তখন সমস্তই ধুলায় পড়ে ধূলিসাৎ হয়। আমি বলে যে কাঙালটা সব জিনিসকেই গালের মধ্যে দিতে চায়, সব জিনিসকেই মুঠোর মধ্যে পেতে চায়, মৃত্যু কেবল তাকেই ফাকি দেয় ; তখন সে মনের খেদে সমস্ত সংসারকেই ফাকি বলে গাল দিতে থাকে, কিন্তু সংসার যেমন তেমনিই থেকে যায়, মৃত্যু তার গায়ে আঁচড়টি কাটতে পারে না । 献 t অতএব, মৃত্যুকে ৰখন কোথাও দেখি তখন সর্বত্রই তাকে দেখতে