পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रृङ्घ ७ अश्रुज्र Կա: **》 থাকা মনের একটা বিকার। যেখানে অহং সেইখানেই কেবল মৃত্যুর হাত পড়ে, আর-কোথাও না । জগৎ কিছুই হারায় না, বা হারাবার সে কেবল অহং হারায় । অতএব, আমাদের ষা-কিছু দেবার সে কাকে দেব ? সংসারকেই দেব, অহংকে দেব না। কারণ, সংসারকে দিলেই সত্যকে দেওয়া হবে, অহংকে দিলেই মৃত্যুকে দেওয়া হবে। সংসারকে যা দেব সংসার তা রাখবে, অহংকে যা দেব অহং তা শত চেষ্টাতেও রাখতে পারবে না। যে ব্যক্তি ভোগী সে অহংকেই সমস্ত পূজা জোগায়, সে চিরজীবন এই অহং-এর মুখ তাকিয়ে খেটে মরে। মৃত্যুর সময় তার সেই ভোগস্ফীত ক্ষুধার্ত অহং কপালে হাত দিয়ে বলে, “সমস্তই রইল পড়ে, কিছুই নিয়ে যেতে পারলুম না ? - মৃত্যুর কথা চিস্ত করে এই অহংটাকেই যদি চিরন্তন বলে না জানি তা হলেই যথেষ্ট হল না— কারণ, সেরকম বৈরাগ্যে কেবল শূন্ততাই আনে। সেই সঙ্গে এও জানতে হবে যে, এই সংসারটা থাকবে। অতএব, আমার যা-কিছু দেবার তা শূন্যের মধ্যে ত্যাগরূপে দেব না, সংসারের মধ্যে দানরূপে দিতে হবে। এই দানের দ্বারাই আত্মার ঐশ্বৰ্ষ প্রকাশ হবে, ত্যাগের দ্বারা নয়। আত্মা নিজে কিছু নিতে চায় না, সে দিতে চায়, এতেই তার মহত্ত্ব। সংসার তার দানের ক্ষেত্র এবং অহং তার দানের সামগ্ৰী । ভগবান এই সংসারের মাঝখানে থেকে নিজেকে কেবলই দিচ্ছেন, তিনি নিজের জন্যে কিছুই নিচ্ছেন না। আমাদের আত্মাও যদি ভগবানের সেই প্রকৃতিকে পায় তবে সত্যকে লাভ করে। সেও সংসারের মাঝখানে ভগবানের পাশে তার সখারূপে দাড়িয়ে নিজেকে সংসারের জন্য উৎসর্গ করবে, নিজের ভোগের জন্ত লালারিত হয়ে সমস্তই নিজের দিকে টানবে না। এই দেবার দিকেই অমৃত, ৱেবার দিকেই মৃত্যু।