পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a@8 . শাস্তিনিকেতন আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার একটি সাধর্ম্য আছে। আমাদের আত্মাও নিয়ে খুশি নয়, সে দিয়ে খুশি । নেব, কাড়ব, সঞ্চয় করব, এই বেগই যদি ব্যাধির বিকারের মতো জেগে ওঠে তা হলে ক্ষোভের ও তাপের সীমা থাকে না। যখন আমরা সমস্ত মন দিয়ে বলি দেব? তখনই আমাদের আনন্দের দিন। তখনই সমস্ত ক্ষোভ দূর হয়, সমস্ত তাপ শাস্ত হয়ে যায়। আত্মার এই আনন্দময় স্বরূপটিকে উপলব্ধি করবার সাধনা করতে হবে। কেমন করে করব ? ' 幽 ওই-ষে একটা ক্ষুধিত অহং আছে, যে কাঙাল সব জিনিসই মুঠে ৷ করে ধরতে চায়, যে কৃপণ নেবার মৎলব ছাড়া কিছু দেয় না, ফলের মংলব ছাড়া কিছু করে না, সেই অহংটাকে বাইরে রাখতে হবে, তাকে পরমাত্মীয়ের মতো সমাদর করে অন্তঃপুরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সে বস্তুত আত্মার আত্মীয় নয় ; কেননা সে যে মরে, আর আত্মা যে অমর। আত্মা যে ‘ন জায়তে ম্রিয়তে', না জন্মায় না মরে । কিন্তু, ওই অহংটা জন্মেছে, তার একটা নামকরণ হয়েছে ; কিছু না পারে তো অন্তত তার ওই নামটাকে স্থায়ী করবার জন্তে তার প্রাণপণ যত্ন । এই-যে আমার অহং একে একটা বাইরের লোকের মতো আমি দেখব। যখন তার দুঃখ হবে তখন বলব তার দুঃখ হয়েছে। শুধু দুঃখ কেন, তার ধন জন খ্যাতি প্রতিপত্তি কিছুতে আমি অংশ নেব না। আমি বলব না যে, এসমস্ত আমি পাচ্ছি, আমি নিচ্ছি। প্রতিদিনই এই চেষ্টা করব, আমার অহং যা-কিছুকে অঁাকড়ে ধরতে চায় আমি তাকে যেন গ্ৰহণ না করি। আমি বারবার করে বলব, ও আমার নয়, ও আমার বাইরে । مل যা বাইরেকার তাকে বাইরে রাখতে প্রাণ সরে না ব’লে আবর্জনায় ভরে উঠলুম, বোঝায় চলা দায় হল । সেই মৃত্যুময় উপকরণের বিকারে