পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अश्९ 、戈●● তেমনি ঈশ্বর আমাদের মতো আমধিকারী শক্তিহীনের কাছে এক জায়গায় হার মানেন, এক জায়গায় তিনি হাসিমুখে বলতে দেন ষে আমাদেরই জিত, বলতে দেন যে আমার শক্তিতেই হল, বলতে দেন । যে আমারই টাকাকড়ি ধনজন— আমারই সসাগরা বস্থদ্ধর । তা যদি না দেন তবে তিনি যে খেল খেলেন সেই আনন্দের খেলায়, সেই স্বষ্টির খেলায়, আমার আত্মা একেবারেই যোগ দিতে পারে না । তাকে খেলা বন্ধ করে হতাশ হয়ে চুপ করে বসে থাকতে হয়। সেইজন্ত তিনি কাঠবিড়ালির পিঠে করুণ হাত বুলিয়ে বলেন, ‘বাবা, কালসমুদ্রের উপরে তুমিও সেতু বাধছ বটে, শাবাশ তোমাকে । , এই-ষে তিনি “আমার’ বলবার অধিকার দিয়েছেন, এই অধিকারটি কেন ? এর চরম উদ্দেশুটি কী ? i. ! এর চরম উদ্দেশ্য এই যে, পরমাত্মার সঙ্গে আত্মার যে-একটি সমান ধর্ম আছে সেই ধর্মটি সার্থক হবে । সেই ধর্মটি হচ্ছে স্বষ্টির ধর্ম, অর্থাৎ দেবার ধর্ম। দেবার ধর্মই হচ্ছে আনন্দের ধর্ম ; আত্মার যথার্থ স্বরূপ হচ্ছে আনন্দময় স্বরূপ— সেই স্বরূপে সে স্থষ্টিকর্তা, অর্থাৎ দাতা । সেই স্বরূপে সে কৃপণ নয়, সে কাঙাল নয়। অহং'এর দ্বারা আমরা অামার’ জিনিস সংগ্ৰহ করি, নইলে বিসর্জন করবার আনন্দ যে মান হয়ে যাবে। নদীর জল যখন নদীতে আছে তখন সে সকলেরই জল ; যখন আমার ঘড়ায় তুলে আনি তখন সে আমার জল, তখন সেই জল আমার ঘড়ার বিশেষত্ব-দ্বারা সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। কোনো তৃষ্ণাতুরকে যদি বলি নদীতে গিয়ে জল খাও গে’, তা হলে জল দান করা হল না— যদিচ সে জল প্রচুর বটে, এবং নদীও হয়তো অত্যন্ত কাছে। কিন্তু, । আমার পাত্র থেকে সেই নদীরই জল এক গওয দিলেও সেটা জলদান कब्र ट्ल । . . . বনের ফুল তো দেবতার সম্মুখেই ফুটেছে। কিন্তু, তাকে আমার

  • .

ኳ ነቆ II,

  • -

> * * 灣