পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यह९ i aむ為 তখন বুঝতে পারি পাওয়া-জিনিসটা নেওয়া জিনিসটা কখনোই নিত্য হতে পারে না। আমরা পাব নেব, আমরা করব— কেবল দেওয়ার জন্ত ৷ নেওয়াটা কেবল দেওয়ারই উপলক্ষ্য, অহংটা কেবল অহংকারকে বিসর্জন করতে হবে ব’লেই । নিজের দিকে একবার টেনে অানব বিশ্বের দিকে উৎসর্গ করবার অভিপ্রায়ে । ধন্থকে তীর যোজন করে প্রথমে নিজের দিকে তাকে যে আকর্ষণ করি সে তো নিজেকে বিদ্ধ করবার জন্তে নয়, সম্মুখেই তাকে ক্ষেপণ করবার জন্তে । তাই বলছিলুম, অহং যখন তার নিজের সঞ্চয়গুলি এনে আত্মার সম্মুখে ধরবে তখন আত্মাকে বলতে হবে, ন, ও আমার নয়, ও আমি নেব না। ওসমস্তই বাইরে রাখতে হবে, বাইরে দিতে হবে, ওর এক কণাও আমি ভিতরে তুলব না। অহং-এর এই-সমস্ত নিরস্তর সঞ্চয়ের দ্বারা আত্মাকে বদ্ধ হয়ে থাকলে চলবে না। কারণ, এই বদ্ধতা আত্মার স্বাভাবিক নয়, আত্মা দানের দ্বারা মুক্ত হয়। পরমাত্মা যেমন স্বষ্টির দ্বারা বদ্ধ নন, তিনি স্বষ্টির দ্বারাই মুক্ত, কেননা তিনি নিচ্ছেন না, তিনি দিচ্ছেন, আত্মাও তেমনি অহং’এর রচনা-দ্বারা বদ্ধ হবার জন্তে হয় নি— এই রচনাগুলি-দ্বারাই সে মুক্ত হবে, তার আনন্দস্বরূপ মুক্ত হবে, কারণ, এইগুলিই সে দান করবে। এই দানের দ্বারাই তার যথার্থ প্রকাশ । ঈশ্বরেরও আনন্দরূপ অমৃতরূপ বিসর্জনের দ্বারাই প্রকাশিত। সেইজন্য অহং তখনই আত্মার যথার্থ প্রকাশ হয় যখন আত্মা তাকে উৎসর্গ করে দেয়, আত্মা তাকে নিজেই গ্রহণ না করে। ৬ চৈত্র