পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

स्वiद्मि *वंकश्चेिं , ૨૭૭ থাকত, তা হলেও শক্তিকে শক্তি বলা যেত না। 苗 জগতের মধ্যে জগদীশ্বরের যে প্রকাশ সে হচ্ছে সীমার মধ্যে অসীমের প্রকাশ। এই সীমায় অসীমে বৈপরীত্য আছে, তা না হলে অসীমের প্রকাশ হতে পারত না। কিন্তু, কেবলই যদি বৈপরীত্যই থাকত তা হলেও সীমা অসীমকে আচ্ছন্ন করেই থাকত । এক জায়গায় সীমার সঙ্গে অসীমের সামঞ্জস্ত আছে। সে কোথায় ? যেখানে সীমা আপনার সীমার মধ্যেই স্থির হয়ে বসে নেই, যেখানে সে অহরহই অসীমের দিকে চলেছে। সেই চলায় তার শেষ নেই– সেই চলায় সে অসীমকে প্রকাশ করছে। মনে করে একটি বৃহৎ দৈৰ্ঘ্য স্থির হয়ে রয়েছে, ছোটো মাপকাঠি কী করে সেই দৈর্ঘ্যের বৃহত্ত্বকে প্রকাশ করে ? না, ক্রমাগতই সেই স্তব্ধ দৈর্ঘ্যের পাশে পাশে চঞ্চল হয়ে অগ্রসর হতে হতে। সে প্রত্যেকবার অগ্রসর হয়ে বলে, 'না, এখনও শেষ হল না। সে যদি চুপ করে পড়ে থাকত তা হলে বৃহত্বের সঙ্গে কেবলমাত্র নিজের বৈপরীত্যটুকুই জানত। কিন্তু, সে নাকি চলেছে, এই চলার দ্বারাই বৃহত্ত্বকে পদে পদে উপলব্ধি করে চলেছে। এই চলার দ্বারা মাপকাঠি ক্ষুদ্র হয়েও বৃহত্ত্বকে প্রচার করছে। এইরূপে ক্ষুত্রে বৃহতে বৈপরীত্যের মধ্যে যেখানে একটা সামঞ্জস্ত ঘটছে সেইখানেই ক্ষুদ্রের দ্বারা বৃহতের প্রকাশ হচ্ছে । জগৎও তেমনি সীমাবদ্ধভাবে কেবল স্থির নিশ্চল নয় ; তার মধ্যে নিরন্তর একটি অভিব্যক্তি আছে, একটি গতি আছে। রূপ হতে রূপান্তরে চলতে চলতে সে ক্রমাগতই বলছে, ‘আমার সীমার দ্বারা তার প্রকাশকে শেষ করতে পারলুম না।’ এইরূপে রূপের দ্বারা জগৎ সীমাবন্ধ হয়ে গতির দ্বারা অসীমকে প্রকাশ করছে। রূপের সীমাটি না থাকলে তার গতিও থাকতে পারত না, তার গতি མi षांकरण षगौश्च তো অব্যক্ত হয়েই থাকতেন ।