পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७8 শাস্তিনিকেতন আত্মার প্রকাশন্ধপ ষে অহং তার সঙ্গে আত্মার একটি বৈপরীত্য আছে । আত্মা ন জায়তে ম্ৰিয়তে : না জন্মায়, না মরে । অহং জন্মমরণের মধ্য দিয়ে চলেছে । আত্মা দান করে, অহং সংগ্রহ করে। আত্মা আনস্তের মধ্যে সঞ্চরণ করতে চায়, অহং বিষয়ের মধ্যে আসক্ত হতে থাকে । এই বৈপরীত্যের বিরোধের মধ্যে যদি একটি সামঞ্জস্য স্থাপিত না হয় তবে অহং আত্মাকে প্রকাশ না করে তাকে আচ্ছন্নই করবে। অহং আপনার মৃত্যুর দ্বারাই আত্মার অমরত্ব প্রকাশ করে। কোনো সীমাবদ্ধ পদার্থ নিশ্চল হয়ে এই অমর আত্মাকে নিজের মধ্যে এক ভাবে রুদ্ধ করে রাখতে পারে না। অহং-এর মৃত্যুর দ্বারা আত্মা রূপকে বর্জন করতে করতেই নিজের রূপাতীত স্বরূপকে প্রকাশ করে। রূপ কেবলই বলে, ‘একে আমি বাধতে পারলুম না, এ আমাকে নিরস্তর ছাড়িয়ে চলছে। এই জন্মমৃত্যুর দ্বারগুলি আত্মার পক্ষে রুদ্ধ দ্বার নয়। সে যেন তার রাজপথের বিজয়তোরণের মতো, তার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে করতে সে চলে যাচ্ছে ; এগুলি কেবল তার গতির পরিমাপ করছে মাত্র । অহং নিয়ত চঞ্চল হয়ে আত্মাকে কেবল মাপছে আর কেবলই বলছে, ‘না, একে আমি সীমাবদ্ধ করে রাখতে পারলুম না।’ সে যেমন সব জিনিসকেই বদ্ধ করে রাখতে চায় তেমনি আত্মাকেও সে বঁধতে চায় । বদ্ধ করতে চাওয়াই তার ধর্ম। অথচ একেবারে বদ্ধ করে রাখা তার ক্ষমতার মধ্যে নেই। যেমন বদ্ধ করা তার প্রবৃত্তি তেমনি বদ্ধ করাই যদি তার ক্ষমষ্টা হ’ত, তবে অমন সর্বনেশে জিনিস श्रांद्र कौ श्ड ! 動 তাই বলছিলুম অহং আত্মাকে যে কেবলই বাধছে এবং ছেড়ে দিচ্ছে, সেই বাধা এবং ছেড়ে দেওয়ার দ্বারাই সে আত্মার মুক্ত স্বভাবকে প্রকাশ করছে। যদি না বাধত তা হলে এই মুক্তির প্রকাশ