পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चांटमल 象够*, প্রকাশ করলেই, মুক্তিলাভ করবে। সেই প্রকাশের বাধাতেই তার দুঃখ, সেইখানেই তার পাপ । sa * \ এইজন্তে তিনি প্রথমে কতকগুলি নিষেধ স্বীকার করিয়ে মাছুষকে শীল গ্রহণ করতে আদেশ করেন। তাকে বললেন, ‘তুমি লোভ কোরে । না, হিংসা কোরো না, বিলাসে আসক্ত হোয়ো না ।” যে-সমস্ত আবরণ তাকে বেষ্টন করে ধরেছে সেইগুলি প্রতিদিনের নিয়ত অভ্যাসে মোচন করে ফেলবার জন্যে তাকে উপদেশ দিলেন । সেই আবরণগুলি মোচন হলেই আত্মা আপনার বিশুদ্ধ স্বরূপটি লাভ করবে। সেই স্বরূপটি কী ? শূন্তত নয়, নৈষ্কর্ম্য নয়। সে হচ্ছে মৈত্রী, করুণ, নিখিলের প্রতি প্রেম। বুদ্ধ কেবল বাসনা ত্যাগ করতে বলেন নি, তিনি প্রেমকে বিস্তার করতে বলেছেন । কারণ, এই প্রেমকে বিস্তারের দ্বারাই আত্মা আপন স্বরূপকে পায়— সুর্য যেমন আলোককে বিকীর্ণ করার षाबाई অণপনার স্বভাবকে পায় । সর্বলোকে আপনাকে পরিকীর্ণ করা আত্মার ধর্ম— পরমাত্মারও সেই ধর্ম। তার সেই ধর্ম পরিপূর্ণ, কেননা তিনি শুদ্ধং অপাপবিদ্ধং । তিনি নিধিকার, তাতে পাপের কোনো বাধা নেই। সেইজন্তে সর্বত্রই তার প্রবেশ । পাপের বন্ধন মোচন করলে আমাদেরও প্রবেশ অব্যাহত হবে । তখন আমরা কী হব ? পরমাত্মার মতে সেই স্বরূপটি লাভ করব ষে স্বরূপে তিনি কবি, মনীষী, প্রভু, স্বয়ম্ভূ । আমরাও আনন্দময় কবি হব, মনের অধীশ্বর হব, দাসত্ব থেকে মুক্ত হব, আপন নির্মল আলোকে আপনি প্রকাশিত হব। তখন আত্মা সমস্ত চিন্তায় বাক্যে কর্মে আপনাকে শাস্তম শিবম অদ্বৈতম। -রূপে প্রকাশ করবে— আপনাকে ক্ষুব্ধ করে, লুব্ধ করে, খণ্ডবিখণ্ডিত ক’রে দেখাবে না। । মৈত্রেীর প্রার্থনাও সেই প্রকাশের প্রার্থন। ষে প্রার্থনা বিশ্বের

;