পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSy> শান্তিনিকেতন সমস্ত কুঁড়ির মধ্যে, কিশলয়ের মধ্যে, যে প্রার্থনা দেশকালের অপরিতৃপ্ত গভীরতার মধ্য হতে নিয়ত উঠছে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রত্যেক অণুতে পরমাণুতে যে প্রার্থনা, যে প্রার্থনার যুগযুগান্তব্যাপী ক্ৰন্দনে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ব’লেই বেদে এই অন্তরীক্ষকে ‘ক্রন্দসী’ ‘রোদসী’ বলেছে, সেই মানবাত্মার চিরন্তন প্রার্থনাই মৈত্রেয়ীর প্রার্থনা । আমাকে প্রকাশ করো, আমাকে প্রকাশ করে। আমি অসত্যে আচ্ছন্ন, আমাকে সত্যে প্রকাশ করে। আমি অন্ধকারে আবিষ্ট, অামাকে জ্যোতিতে প্রকাশ করে। আমি মৃত্যুর দ্বারা আবিষ্ট, আমাকে অমৃতে প্রকাশ করে। হে আবিঃ, হে পরিপূর্ণ প্রকাশ, তোমার মধ্যেই আমার প্রকাশ হোক, আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ কোনো বাধা না পাক— সেই প্রকাশ নিৰ্বমুক্ত হলেই তোমার দক্ষিণ মুখের জ্যোতিতে আমি চিরকালের জন্যে রক্ষা পাব । সেই প্রকাশের বাধাতেই তোমার অপ্রসন্নত । বুদ্ধ সমস্ত মানবের হয়ে নিজের জীবনে এই পরিপূর্ণ প্রকাশের প্রার্থনাই করেছিলেন– এ ছাড়া মানুষের আর দ্বিতীয় কোনো প্রার্থনাই নেই। ৯ চৈত্র সাধন আমরা অনেকেই প্রতিদিন এই বলে আক্ষেপ করছি যে, আমরা ঈশ্বরকে পাচ্ছি নে কেন ? আমাদের মন বসছে না কেন ? আমাদের ভাব জমছে না কেন ? م সে কি অমনি হবে, আপনি হয়ে উঠবে ? এত বড়ো লাভের খুব একটা বড়ো সাধনা নেই কি ? ঈশ্বরকে পাওয়া বলতে কতখানি বোঝায় তা ঠিকমত জানলে, এ সম্বন্ধে বৃথা চঞ্চলত অনেকটা দূর হয়। s