পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

·: ማለe শান্তিনিকেতন বলুক, সাধনার লক্ষ্য যেখানে সে স্থাপন করেছে সেটা একটা ছোটাে জায়গা। সে জায়গায় এমন-কিছুই নেই যা তোমার সমস্ত সংসারের চেয়েও বড়ো— বরং এমন-কিছু আছে যার চেয়ে তোমার সংসারের অধিকাংশ জিনিসই বড়ো । এইটি মনে রাখতে হবে, প্রতিদিন সকল কর্মের মধ্যে আমাদের সাধনাকে জাগিয়ে রাখতে হবে। এই সাধনাটিকে আমাদের গড়তে হবে। শরীরটিকে মনটিকে হৃদয়টিকে সকল দিক দিয়ে ব্রহ্মবিহারের I n অনুকূল করে তুলতে হবে। সমাজের জন্য আমাদের এই শরীর মন হৃদয়কে আমরা তো একটু একটু করে গড়ে তুলেছি। শরীরকে সমাজের উপযোগী সাজ করতে অভ্যাস করিয়েছি— শরীর সমাজের উপযোগী লজ্জাসংকোচ করতে শিখেছে। তার হাত পা চাহনি হাসি সমাজের প্রয়োজন -অনুসারে শায়েস্তা হয়ে এসেছে। সভাস্থলে স্থির হয়ে বসতে তার আর কষ্ট হয় ন। পরিচিত ভদ্রলোক দেখলে হাসিমুখে শিষ্টসম্ভাষণ করতে তার আর চেষ্টা করতে হয় না। সমাজের সঙ্গে মিলে থাকবার জন্তে বিশেষ অভ্যাসের দ্বারা অনেক ভালোলাগা মনালাগা, অনেক ঘৃণা ভয়, এমন করে গড়ে তুলতে হয়েছে যে সেগুলি শারীরিক সংস্কারে পরিণত হয়েছে ; এমন-কি, সেগুলি আমাদের সহজ সংস্কারের চেয়েও বড়ে হয়ে উঠেছে। এমনি করে কেবল শরীর নয়, হৃদয় মনকে প্রতিদিন সমাজের ছাচে ফেলে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গড়ে তুলতে হয়েছে। ব্রহ্মবিহারের জন্যও শরীর মন হৃদয়কে সকল দিক দিয়েই সকল প্রকারেই নিজের চেষ্টায় গড়ে তুলতে হবে। যদি প্রশ্ন করবার কিছু থাকে তবে এইটেই প্রশ্ন করবার যে, আমি কি সেই চেষ্টা করছি ? আমি কি ব্রহ্মকে পেয়েছি সে প্রশ্ন এখন থাক। 轟 প্রথমে শরীরটাকে তো বিশুদ্ধ করে তুলতে হবে। আমাদের চোখ