পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जांधब * २१४ মুখ হাত পা'কে এমন করতে হবে যে, পবিত্র সংযম তাদের পক্ষে একেবারে সংস্কারের মতো হয়ে আসবে। সম্মুখে বেখানে লজ্জার বিষয় আছে সেখানে মন লজ্জা করবার পূর্বে চক্ষু আপনি লজ্জিত হবে— যে ঘটনায় সহিষ্ণুতার প্রয়োজন আছে সেখানে মন বিবেচনা করবার পূর্বে বাক্য আপনি ক্ষান্ত হবে, হাত পা আপনি স্তন্ধ হবে । এর জন্তে মুহূর্তে মুহূর্তে আমাদের চেষ্টার প্রয়োজন। তন্থকে ভাগবতী তন্থ করে তুলতে হবে— এ তন্থ ভগবানের সঙ্গে কোথাও বিরোধ করবে না, অতি সহজেই সর্বত্রই তার অনুগত হবে। প্রতিদিন প্রত্যেক ব্যাপারে আমাদের বাসনাকে সংষত করে আমাদের ইচ্ছাকে মঙ্গলের মধ্যে বিস্তীর্ণ করতে হবে ; অর্থাৎ ভগবানের যে ইচ্ছা সর্বজীবের মধ্যে প্রসারিত, নিজের রাগ-দ্বেষ লোভ-ক্ষোভ ভুলে সেই ইচ্ছার সঙ্গে সচেষ্টভাবে যোগ দিতে হবে। সেই ইচ্ছার মধ্যে প্রত্যহই আমাদের ইচ্ছাকে অল্প অল্প করে ব্যাপ্ত করে দিতে হবে। যে পরিমাণে ব্যাপ্ত হতে থাকবে ঠিক সেই পরিমাণেই আমরা ব্ৰহ্মকে পাব । এক জায়গায় চুপ করে দাড়িয়ে থেকে যদি বলি ষে দূর লক্ষ্যস্থানে পোঁচচ্ছি না কেন সে যেমন অসংগত বল, তেমনি নিজের ক্ষুদ্র গণ্ডির মধ্যে স্বার্থবেষ্টনের কেঙ্গে অচল হয়ে বসে কেবলমাত্র জপতপের দ্বারা ব্ৰহ্মকে পাচ্ছি নে কেন –এ প্রশ্নও তেমনি चडूङ । ." У е চৈত্র ব্রহ্মবিহার ব্রহ্মবিহারের এই সাধনার পথে বুদ্ধদেব মানুষকে প্রবর্তিত s করবার জন্যে বিশেষরূপে উপদেশ দিয়েছেন। তিনি জানতেন কোনো পাবার