পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१२ শাস্তিনিকেতন যোগ্য জিনিস ফাকি দিয়ে পাওয়া যায় না, সেইজন্যে তিনি বেশি কথা না বলে একেবারে ভিত খোড়া থেকে কাজ আরম্ভ করে দিয়েছেন । , ši o তিনি বলেছেন শীল গ্রহণ করাই মুক্তিপথের পাথেয় গ্রহণ করা। চরিত্র শব্দের অর্থই এই যাতে করে চলা যায়। শীলের দ্বারা সেই চরিত্র গড়ে ওঠে ; শীল আমাদের চলবার সম্বল । পাণং ন হানে : প্রাণীকে হত্যু করবে না —এই কথাটি শীল। ন চ অদিল্লমাদিয়ে ; যা তোমাকে দেওয়া হয় নি তা নেবে না —এই একটি শীল। মুম্বা ন ভাসে : মিথ্যা কথা বলবে না —এই একটি শীল। ন চ মজপো সিয়া : মদ খাবে না —এই একটি শীল। এমনি করে যথাসাধ্য একটি একটি করে শীল সঞ্চয় করতে হবে । আর্যশ্রাবকেরা প্রতিদিন নিজেদের এই শীলকে স্মরণ করেন : ইধ অরিয়সাবকে অত্তনো লীলানি অসুস্সরতি । 粵 শীলসকলকে কী বলে অনুস্মরণ করেন ? অখণ্ডানি, অচ্ছিদানি, অসবলানি, অকস্মাসানি, ভূজিস্সানি, বিঞএ পপসখানি, অপরামর্টুঠানি, সমাধিসংবত্তনিকানি । f অর্থাৎ, আমার এই শীল খণ্ডিত হয় নি, এতে ছিদ্র হয় নি, আমার এই শীল জোর করে রক্ষিত হয় নি অর্থাৎ ইচ্ছা করেই রাখছি, এই শীলে পাপ স্পর্শ করে নি, এই শীল ধন মান প্রভৃতি কোনো স্বার্থসাধনের জন্য আচরিত নয়, এই শীল বিজ্ঞজনের অকুমোদিত, এই শীল বিদলিত হয় নি এবং এই শীল মুক্তিপ্রবর্তন করবে। এই বলে আর্যশ্রাবকগণ নিজ নিজ শীলের গুণ বারম্বার স্মরণ করেন । এই শীলগুলিই হচ্ছে মঙ্গল। মঙ্গললাভই প্রেম ও মুক্তিলাভের লোপান। বুদ্ধদেব কাকে যে মঙ্গল বলেছেন তা মঙ্গলম্বত্তে কথিত আছে। সেটি অনুবাদ করে দিই—