পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રbr૦ শাস্তিনিকেতন করবার পথ দেখিয়েছেন। প্রতিদিন এই কথা স্মরণ করে যে, আমার শীল অখণ্ড আছে, অচ্ছিন্দ্র অাছে এবং প্রতিদিন চিত্তকে এই ভাবনায় নিবিষ্ট করে যে, ক্রমশ সকল বিরোধ কেটে গিয়ে আমার আত্মা সর্বভূতে প্রসারিত হচ্ছে। অর্থাৎ, এক দিকে বাধা কাটছে আর-এক দিকে স্বরূপ লাভ হচ্ছে। এই পদ্ধতিকে তো কোনোক্রমেই শূন্ততালাভের পদ্ধতি বলা যায় না। এই তো নিখিললাভের পদ্ধতি, এই তো আত্মলাভের পদ্ধতি, পরমাত্মলাভের পদ্ধতি । >> tव्ज পূর্ণত আর-এক মহাপুরুষ যিনি তার পিতার মহিমা প্রচার করতে জগতে এসেছিলেন তিনি বলেছেন, ‘তোমার পিতা যেরকম সম্পূর্ণ তুমি তেমনি সম্পূর্ণ হও। এ কথাটিও ছোটো কথা নয়। মানবাত্মার সম্পূর্ণতার আদর্শকে তিনি পরমাত্মার মধ্যে স্থাপন করে সেই দিকেই আমাদের লক্ষ্য স্থির করতে বলেছেন। সেই সম্পূর্ণতার মধ্যেই আমাদের ব্রহ্মবিহার, কোনো ক্ষুদ্র সীমার মধ্যে নয়। পিতা যেমন সম্পূর্ণ, পুত্ৰতেমনি সম্পূর্ণ হতে নিয়ত চেষ্টা করবে। এ না হলে পিতাপুত্রে সত্যযোগ হবে কেমন করে ? এই সম্পূর্ণতার যে-একটি লক্ষণ নির্দেশ করেছেন সেও বড়ো কম নয়। যেমন বলেছেন, তোমার প্রতিবেশীকে তোমার আপনার মতো ভালোবাসো। কথাটাকে লেশমাত্র খাটো করে বলেন নি। বলেন নি বে প্রতিবেশকে ভালোবাসে ; বলেছেন, প্রতিবেশীকে আপনারই মতো ভালোবাসো। যিনি ব্রহ্মবিহার কামনা করেন তাকে এই ভালোবাসায় গিয়ে পৌছতে হবে – এই পথেই তাকে চল চাই।