পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ণত هzد ভগবান ষিপ্ত বলেছেন, শক্রকেও প্রীতি করবে। শক্রকে ক্ষমা করবে ব’লে ভয়ে-ভয়ে মাঝপথে থেমে যান নি । শক্রকে প্রীতি করবে বলে তিনি ব্রহ্মবিহার পর্যন্ত লক্ষকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন । বলেছেন, যে তোমার গায়ের জামা কেড়ে নেয় তাকে তোমার উত্তরীয় পর্যন্ত দান করো । সংসারী লোকের পক্ষে এগুলি একেবারে অত্যুক্তি । তার কারণ, ংসারের চেয়ে বড়ো লক্ষ্যকে সে মনের সঙ্গে বিশ্বাস করে না। সংসারকে সে তার জামা ছেড়ে উত্তরীয় পর্যন্ত দিয়ে ফেলতে পারে যদি তাতে তার সাংসারিক প্রয়োজন সিদ্ধ হয়। কিন্তু, ব্রহ্মবিহারকে সে যদি প্রয়োজনের চেয়ে ছোটো বলে জানে তবে জামাটুকু দেওয়াও শক্ত হয় । কিন্তু, যারা জীবের কাছে সেই ব্ৰহ্মকে, সেই সকলের চেয়ে বড়োকেই ঘোষণা করতে এসেছেন, তারা তো সংসারী লোকের দুর্বল বাসনার মাপে ব্রহ্মকে অতি ছোটো করে দেখাতে চান নি। তারা সকলের চেয়ে বড়ো কথাকেই অসংকোচে একেবারে শেষ পর্যন্ত বলেছেন । এই বড়ো কথাকে এত বড়ো করে বলার দরুন তারা আমাদের একটা মস্ত ভরসা দিয়েছেন। এর দ্বারা তারা প্রকাশ করেছেন মহন্তত্বের গতি এত দূর পর্যন্তই যায়, তার প্রেম এত বড়োই প্রেম, তার ত্যাগ এত বড়োই ত্যাগ । অতএব, এই বড়ো লক্ষ্য এবং বড়ো পথে আমাদের হতাশ না করে আমাদের সাহস দেবে। নিজের অন্তরতর মাহীত্ম্যের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাকে বাড়িয়ে দেবে। আমাদের সমস্ত চেষ্টাকে পূর্ণভাবে উদবোধিত করে তুলবে। y’ লক্ষ্যকে অসত্যের দ্বারা ছেটে ক্ষুদ্র করলে, উপায়কে দুর্বলতার দ্বারা