পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ণত । 蠱 *b^చి পর হবেন, যাতে শক্রকে আঘাত করব তাতে র্তাকেও আঘাত করব । এইজন্য ব্রহ্মবিহারের কথা বলবার সময় সংসারের কোনো কথাকেই এতটুকু বাচিয়ে বলবার জো নেই। যারা মহাপুরুষ র্তারা কিছুই বঁচিয়ে বলেন নি, হাতে রেখে কথা কন নি। তারা বলছেন, একেবারে নিঃশেষে মরে তবে তাতে বেঁচে উঠতে হবে । তাদের সেই পথ অবলম্বন করে প্রতিদিন অহংকারের দিকে, স্বার্থের দিকে, আমাদের নিঃশেষে মরতে হবে এবং মৈত্রীর দিকে, প্রেমের দিকে, পরমাত্মার দিকে, অপরিমাণরূপে বঁাচতে হবে। যারা এই মহাপথে যাত্রা করবার জন্ত মানবকে নির্ভর দিয়েছেন একান্ত ভক্তির সঙ্গে প্রণাম করে তাদের শরণাপন্ন छ्हे । ১২ চৈত্র নীড়ের শিক্ষা এই অপরিমাণ পথটি নিঃশেষ না করে পরমাত্মার কোনো উপলব্ধি নেই, এ কথা বললে মানুষের চেষ্টা অসাড় হয়ে পড়ে। এতদিন তা হলে খোরাক কী ? মানুষ বঁচিবে কী নিয়ে ? শিশু মাতৃভাষা শেখে কী করে ? মায়ের মুখ থেকে শুনতে শুনতে, খেলতে খেলতে, আনন্দে শেখে । যতটুকুই সে শেখে ততটুকুই সে প্রয়োগ করতে থাকে। তখন তার কথাগুলি আধো-আধো, ব্যাকরণ-ভূলে পরিপূর্ণ। তখন সেই অসম্পূর্ণ ভাষায় সে যতটুকু ভাব ব্যক্ত করতে পারে তাও খুব সংকীর্ণ। কিন্তু, তৰু শিশুবয়সে ভাষা শেখবার এই একটি স্বাভাবিক উপায়। শিশুর ভাষার এই অশুদ্ধতা এবং সংকীর্ণত দেখে যদি শাসন করে দেওয়া যায় যে যতক্ষণ পর্যন্ত নিঃশেষে ব্যাকরণের সমস্ত নিয়মে না পাক৷