পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ab* শান্তিনিকেতন আরাম ছেড়ে এমন দুঃসহ দুঃখের ভিতর দিয়ে তাকে পথে পথে ঘোরায় কে ? ঠিক রাজ্যলোভ নয়, বড়ো হবার ইচ্ছা— বড়ো হওয়ার দ্বারা নিজের শক্তিকে বড়ো করে উপলব্ধি করা। এই অভিপ্রায়ে মাতুষ কোনো দুঃখ থেকে নিজেকে বাচাতে চায় না। ষে লোক লক্ষপতি হবে বলে দিনরাত টাকা জমাচ্ছে— বিশ্রামের মুখ নেই, খাবার মুখ নেই, রাত্রে ঘুম নেই, লাভক্ষতির নিরস্তর আন্দোলনে মনে চিন্তার সীমা নেই– সে কিজন্যে এই অসহ্য কষ্ট স্বীকার করে নিয়েছে ? ধনের পথে যত দূর সম্ভব বড়ো হয়ে ওঠবার জন্তে । তাকে এ কথা বলা মিথ্যা যে “তোমাকে দুঃখনিবারণের পথ বলে দিচ্ছি’। তাকে এ কথাও বলা মিথ্য যে ‘ভোগের বাসনা ত্যাগ করে, আরামের আকাজক্ষা মনে রেখো না । ভোগ এবং আরাম সে যেমন ত্যাগ করেছে এমন আর কে করতে পারে ? Η বুদ্ধদেব যে দুঃখনিবৃত্তির পথ দেখিয়ে দিয়েছেন সে পথের একটা সকলের চেয়ে বড়ে আকর্ষণ কী ? সে এই যে, অত্যন্ত দুঃখ স্বীকার করে এই পথে অগ্রসর হতে হয়। এই দুঃখস্বীকারের দ্বারা মানুষ আপনাকে বড়ো করে জানে। খুব বড়ো রকম করে ত্যাগ, খুব বড়ো রকম করে ব্ৰতপালনের মাহাত্ম্য মানুষের শক্তিকে বড়ো করে দেখায় ব’লে মামুষের মন তাতে ধাবিত হয় । এই পথে অগ্রসর হয়ে যদি সত্যই এমন কোনো-একটা জায়গায় মাহ্য ঠেকতে পারত যেখানে একান্ত দুঃখনিবৃত্তি ছাড়া আর কিছুই নেই, তা হলে ব্যাকুল হয়ে তাকে জগতে দুঃখের সন্ধানে বেরোতে হত । অতএব, মানুষকে যখন বলি ‘দুঃখনিবৃত্তির উদ্দেশে তোমাকে সমস্ত সুখের বাসনা ত্যাগ করতে হবে, তখন সে রাগ করে বলতে পারে। ‘চাই নে আমি দুঃখনিবৃত্তি’। ওর চেয়ে বড়ো কিছু-একটাকে দিতে হবে, কারণ মাস্থ্য दप्प्लांटकहे ן החס