পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b" | ஒது \G ওঁ শব্দের অর্থ, হা। অাছে এবং পাওয়া গেল এই কথাটাকে স্বীকার। কাল আমরা ছান্দোগ্য উপনিষৎ আলোচনা করতে করতে ওঁ শব্দের এই তাৎপর্যের আভাস পেয়েছি । 劇 যেখানে আমাদের আত্মা ‘হা’কে পায় সেইখানেই সে বলে ওঁ ! দেবতারা এই হা’কে যখন খুজতে বেরিয়েছিলেন তখন তারা কোথায় খুজে শেষে কোথায় পেলেন ? প্রথমে তারা ইন্দ্রিয়ের দ্বারে দ্বারে আঘাত করলেন। বললেন চোখে দেখার মধ্যে এই হা’কে পাওয়া যাবে। কিন্তু, দেখলেন চোখে দেখার মধ্যে সম্পূর্ণতা নেই— ত৷ ই এবং না’এ খণ্ডিত। তার মধ্যে পরিপূর্ণ বিশুদ্ধতা নেই– তা ভালোও দেখে, মন্দও দেখে ; খানিকটা দেখে, খানিকট দেখে না ; সে দেখে কিন্তু শোনে না। এমনি করে কান নাক বাক্য মন সর্বত্রই সন্ধান করে দেখলেন ; সর্বত্রই খণ্ডত আছে, সর্বত্রই দ্বন্দ্ব আছে। - অবশেষে প্রাণের প্রাণে গিয়ে যখন পৌছলেন তখন এই শরীরের মধ্যে একটা ‘হা’ পেলেন। কারণ, এই প্রাণই শরীরের সব প্রাণকে অধিকার করে আছে। এই প্রাণের মধ্যেই সকল ইঞ্জিয়ের সকল শক্তির ঐক্য। এই মহাপ্রাণ যতক্ষণ আছে ততক্ষণই চোখও দেখছে, কানও শুনছে, নাসিকাও ভ্রাণ করছে। এর মধ্যে ষে কেবল একটা ‘ই’ এবং অন্তটা না হয়ে আছে তা নয় ; এর মধ্যে দৃষ্ট শ্রুতি সাম্ৰাণ সকলগুলিই