পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રજ ૨ শান্তিনিকেতন এক জায়গায় ‘ই’ হয়ে আছে। অতএব শরীরের মধ্যে এইখানেই আমরা পেলুম ওঁ । বাস, অঞ্জলি ভরে উঠল। ছান্দোগ্য বলছেন, মিথুনের মাঝখানে অর্থাৎ দুই যেখানে মিলেছে সেইখানেই এই ওঁ । যেখানে এক দিকে ঋক্ এক দিকে সাম, এক দিকে বাক্য এক দিকে স্বর, এক দিকে সত্য এক দিকে প্রাণ ঐক্য লাভ করেছে সেইখানেই এই পরিপূর্ণতার সংগীত– ওঁ । যার মধ্যে কিছুই বাদ পড়ে নি, র্যার মধ্যে সমস্ত খণ্ডই অখণ্ড হয়েছে, সমস্ত বিরোধ মিলিত হয়েছে, আমাদের আত্মা তাকেই অঞ্জলি জোড় করে ইঁ। ব’লে স্বীকার করে নিতে চায়। তার পূর্বে সে নিজের পরম পরিতৃপ্তি স্বীকার করতে পারে না ; তাকে ঠেকতে হয়, তাকে ঠকতে হয়— মনে করে ইন্দ্ৰিয়েই ইl, ধনেই হ, মানেই হা । শেষকালে দেখে, এর সব-তাতেই পাপ আছে, দ্বন্দ্ব আছে, ‘না তার সঙ্গে মিশিয়ে আছে । সকল দ্বন্দ্বের সমাধানের মধ্যে উপনিষৎ সেই পরমপরিপূর্ণকে দেখেছেন বলেই সত্যের এক দিকেই সমস্ত বেীকটা দিয়ে তার অন্য দিকটাকে একেবারে নির্মূল করে দিতে চেষ্টা করেন নি। সেইজন্যে তিনি যেমন বলছেন— এতজ জ্ঞেয়ং নিত্যমেবাত্মসংস্থং নাতিঃপরং বেদিতব্যং হি কিঞ্চিৎ ৷ অর্থাৎ, আত্মাতেই যিনি নিত্য স্থিতি করছেন তিনিই জানবার যোগ্য, তার পর জানবার যোগ্য আর-কিছুই নেই। তেমনি আবার বলেছেন— তে সর্বগং সর্বতঃ প্রাপ্য ধীরা যুক্তাত্মানঃ সর্বমেবাবিশস্তি। অর্থাৎ, সেই ধীরের যুক্তাত্মা হয়ে সর্বব্যাপীকে সকল দিক হতেই লাভ ক’রে সর্বত্রই প্রবেশ করেন ।