পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હૈં ఇ39 ‘আত্মন্তেবায়ানং পশুতি' নয়, কেবল আত্মার মধ্যেই আত্মাকে দেখা নয়— সেই দেখাই আবার সর্বত্রই। আমাদের ধ্যানের মন্ত্রে এক সীমায় রয়েছে ভূত্ৰভুবশ্বেং, অন্ত সীমায় রয়েছে আমাদের ধী, আমাদের চেতনা । মাঝখানে এই দুইকেই একে বেঁধে সেই বরণীয় দেবতা আছেন যিনি এক দিকে ভূত্বভুব:স্বঃকেও স্বষ্টি করছেন আর-এক দিকে আমাদের ধীশক্তিকেও প্রেরণ করছেন। কোনোটাকেই বাদ দিয়ে তিনি নেই। এইজন্যই তিনি ওঁ । এইজন্যেই উপনিষৎ বলেছেন, যারা অবিদ্যাকেই, সংসারকেই একমাত্র করে জানে তারা অন্ধকারে পড়ে । আবার যারা বিদ্যাকে, ব্ৰহ্মজ্ঞানকে ঐকাস্তিক করে বিচ্ছিন্ন করে জানে তারা গভীরতর অন্ধকারে পড়ে। এক দিকে বিদ্যা আর-এক দিকে অবিদ্যা, এক দিকে ব্ৰহ্মজ্ঞান এবং আর-এক দিকে সংসার। এই দুইয়ের যেখানে সমাধান হয়েছে সেইখানেই আমাদের আত্মার স্থিতি । দূরের দ্বারা নিকট বর্জিত, নিকটের দ্বারা দুর বর্জিত ; চলার দ্বারা থামা বর্জিত, থামার দ্বারা চলা বর্জিত ; অস্তরের দ্বারা বাহির বর্জিত, বাহিরের দ্বারা অন্তর বর্জিত ; কিন্তু— তদেজতি তরৈজতি তদদূরে তদ্বস্তিকে তদন্তরস্ত সর্বস্ত তজু সর্বস্তাস্ত বাহতঃ। তিনি চলেন অথচ চলেন না, তিনি দূরে অথচ নিকটে, তিনি সকলের অস্তরে অথচ তিনি সকলের বাহিরেও। অর্থাৎ, চলা না-চলা, দূর নিকট, ভিতর বাহির, সমস্তর মাঝখানে সমস্তকে নিয়ে তিনি ; কাউকে ছেড়ে তিনি নন। এইজন্য তিনি ওঁ । তিনি প্রকাশ ও অপ্রকাশের মাঝখানে। এক দিকে সমস্তই তিনি প্রকাশ করছেন, আর-এক দিকে কেউ তাকে প্রকাশ করে উঠতে পারছে না। তাই উপনিষদ বলেন— .