পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rఏ8 শান্তিনিকেতন ন তত্র স্বর্ষে ভাতি ন চন্দ্রতারকং নেমা বিদ্যুতো ভাস্তি কুতোইয়মগ্নিঃ । তমেব ভাস্তমকুভাতি সর্বং তস্য ভাসা সর্বমিদং বিভাতি ॥ সেখানে সুর্য আলো দেয় না, চন্দ্ৰতারাও না, এই বিদুৎসকলও দীপ্তি দেয় না, কোথায় বা আছে এই অগ্নি— তিনি প্রকাশিত তাই সমস্ত প্রকাশমান, র্তার আভাতেই সমস্ত বিভাত । তিনি শাস্তম্ শিবম্ অদ্বৈতম। শাস্তম্ বলতে এ বোঝায় না সেখানে গতির সংস্রব নেই। সকল বিরুদ্ধ গতিই সেখানে শাস্তিতে ঐক্যলাভ করেছে। কেন্দ্রাতিগ এবং কেন্দ্রানুগ গতি, আকর্ষণের গতি এবং বিকর্ষণের গতি, পরস্পরকে কাটতে চায় ; কিন্তু এই দুই বিরুদ্ধ গতিই র্তার মধ্যে অবিরুদ্ধ ব’লেই তিনি শাস্তম । আমার স্বার্থ তোমার স্বার্থকে মানতে চায় না, তোমার স্বার্থ আমার স্বার্থকে মানতে চায় না ; কিন্তু মাঝখানে যেখানে মঙ্গল সেখানে তোমার স্বার্থই আমার স্বার্থ এবং আমার স্বার্থই তোমার স্বার্থ। তিনি শিব, তার মধ্যে সকলেরই স্বার্থ মঙ্গলে নিহিত রয়েছে। তিনি অদ্বিতীয়, তিনি এক । তার মানে এ নয় যে তবে এসমস্ত কিছুই নেই। তার মানে এই সমস্তই র্তাতে এক। আমি বলছি আমি তুমি নয়, তুমি বলছ তুমি আমি নয় ; এমন বিরুদ্ধ আমাকে-তোমাকে এক করে রয়েছেন সেই अटेवज्रश्। মিথুন যেখানে মিলেছে সেইখানেই হচ্ছেন তিনি, কেউ যেখানে বর্জিত হয় নি সেইখানেই তিনি। এই-যে পরিপূর্ণতা বা সমস্তকে নিয়ে অথচ যা কোনো খণ্ডকে আশ্রয় করে নয়— ষা চন্দ্রে নয়, স্বর্ষে নয়, মামুষে নয়, অথচ সমস্ত চন্দ্র স্বৰ্ধ মামুষে ; যা কানে নয়, চোখে নয়, বাক্যে নয়, মনে নয়, অথচ সমস্ত কানে চোখে বাক্যে মনে ; সেই