পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હૈં . १ॐ¢ এককেই, সেই হা’কেই, সমস্ত মনপ্রাণ দিয়ে সেই পরিপূর্ণতাকেই স্বীকার হচ্ছে ওঙ্কার । ծ« tԵկ স্বভাবলাভ মানুষের এক দিন ছিল যখন সে যেখানে কিছু অদ্ভূত দেখত সেইখানে ঈশ্বরের কল্পনা করত। যদি দেখলে কোথাও জলের থেকে আগুন উঠছে অমনি সেখানে পূজার আয়োজন করত। তখন সে কোনোএকটা অসামান্ত লক্ষণ দেখে বা কল্পনা করে বলত, অমুক মামুষে দেবতা ভর করেছেন, অমুক গাছে দেবতার আবির্ভাব হয়েছে, অমুক মূর্তিতে দেবতা জাগ্রত হয়ে আছেন । ক্রমে অখণ্ড বিশ্বনিয়মকে চরাচরে যখন সর্বত্র এক ব’লে দেখবার শিক্ষা মানুষের হল তখন সে জানতে পারল যে, যাকে অসামান্ত বলে মনে হয়েছিল সেও সামান্য নিয়ম হতে ভ্ৰষ্ট নয়। তখনই ব্রহ্মের আবির্ভাবকে অখণ্ডভাবে সর্বত্র ব্যাপ্ত করে দেখবার অধিকার সে লাভ করল। এবং সেই বিরাট অবিচ্ছিন্ন ঐক্যের ধারণায় সে আনন্দ ও আশ্রয় পেল। তখনই মামুষের জ্ঞান প্রেম কর্ম মোহমুক্ত হয়ে, প্রশস্ত এবং প্রসন্ন হয়ে উঠল। তার ধর্ম থেকে, সমাজ থেকে, রাজ্য থেকে, মূঢ়তা ক্ষুদ্রতা দূর হতে লাগল । এই দেখা হচ্ছে ব্ৰহ্মকে সর্বত্র দেখা, স্বভাবে দেখা । কিন্তু, সমস্ত স্বভাব থেকে চুরি করে এনে তাকে স্বেচ্ছাপূর্বক কোনোএকটা কৃত্রিমতার মধ্যে বিশেষ করে দেখবার চেষ্টা এখনও মামুষের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। এমন-কি কেউ কেউ স্পর্ধ করে বলেন, সেই রকম করে দেখাই হচ্ছে প্রকৃষ্ট দেখা। সব রূপ হতে ছাড়িয়ে একটি