পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રાજે ૭ শাস্তিনিকেতন কোনো বিশেষ রূপে, সব মানুষ হতে সরিয়ে একটি-কোনো বিশেষ মাহুযে, ঈশ্বরকে পূজা করাই তারা বলেন পূজার চরম। জানি, মানুষ এরকম কৃত্রিম উপায়ে কোনো-একটা হৃদয়বৃত্তিকে অতিপরিমাণে বিক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে, কোনো-একটা রসকে অত্যন্ত তীব্র করে দাড় করাতে পারে। কিন্তু সেইটে করাই কি সাধনার লক্ষ্য ? অনেক সময় দেখা যায়, অন্ধ হলে স্পশশক্তি অতিরিক্ত বেড়ে যায়। কিন্তু, সেইরকম এক দিকের চুরির দ্বারা অন্ত দিককে উপচিয়ে তোলাকেই কি বলে শক্তির সার্থকতা ? যে দিকটা নষ্ট হল সে দিকটার হিসাব কি দেখতে হবে না ? সে দিকের দণ্ড হতে কি আমরা নিষ্কৃতি পাব ? কোনোপ্রকার বাহ ও সংকীর্ণ উপায়ের দ্বারা সম্মোহনকে মেস্মেরিজমকে ধর্মসাধনার প্রধান অঙ্গ করে তুললে আমাদের চিত্ত স্বাস্থ্য থেকে, স্বভাব থেকে, স্বতরাং মঙ্গল থেকে বিচু্যত হবেই হবে। আমরা ওজন হারাব ; আমরা যে দিকটাতে এইরকম অসংগত ঝোক দেব সেই দিকটাকেই বিপর্যস্ত করে দেব। বস্তুত, স্বভাবের পরিপূর্ণতাকে লাভ করাই ধর্ম ও ধর্মনীতির শ্রেষ্ঠ লাভ । মানুষ নানা কারণে তার স্বভাবের ওজন রাখতে পারে না, সে সামঞ্জস্য হারিয়ে ফেলে— এই তো তার পাপের মূল, এবং ধর্মনীতি তে এইজন্যই তাকে সংযমে প্রবৃত্ত করে। এই সংযমের কাজটা কী ? প্রবৃত্তিকে উনমূল করা নয়, প্রবৃত্তিকে নিয়মিত করা। কোনো-একটা প্রবৃত্তি যখন বিশেষরূপ প্রশ্রয় পেয়ে স্বভাবের সামঞ্জস্যকে পীড়িত করে তখনই পাপের উৎপত্তি হয়। অর্জনপূহ যখন অত্যন্ত উগ্র হয়ে উঠে টাকা-অর্জনের দিকেই মানুষের শক্তিকে একান্ত বাধতে চায় তখনই সেটা লোভ হয়ে দাড়ায় ; তখনই লে মাহুষের চিত্তকে তার সমস্ত স্বাভাবিক দিক থেকে চুরি করে এই দিকেই জড়ো করে । এই প্রকারে স্বভাব থেকে যে ব্যক্তি ভ্ৰষ্ট হয় সে