পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অখণ্ড পাওয়া 及冷° তেমনি করে না পেলে মনে করি, তবে তো পাচ্ছি নে। তখন ব্যস্ত হয়ে ভগবানকে পাওয়াও যাতে আমাদের অন্যান্ত পাওয়ার শামিল হয় সেই চেষ্টা করতে চাই। অর্থাৎ, আমাদের আসবাবপত্রের যে ফর্দট। আছে, যাতে ধরা আছে আমার ঘোড়া আছে, গাড়ি আছে, আমার ঘটি আছে, বাটি আছে, তার মধ্যে ওটাও ধরে দিতে হবে— আমার একটি ভগবান আছে । কিন্তু, ভালো করে ভেবে দেখার দরকার এই যে, ঈশ্বরকে পাবার জন্যে আমাদের আত্মার যে-একটি গভীর আকাজক্ষা আছে সেই আকাজক্ষার প্রকৃতি কী ? সে কি অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে আরও একটা বড়ো জিনিসকে যোগ করবার আকাজক্ষা ? তা কখনোই নয়। কেননা, যোগ করে করে জড়ো করে আমরা যে গেলুম। তেমনি করে সামগ্ৰীগুলোকে নিয়তই জোড়া দেবার নিরস্তর কষ্ট থেকে বাচাবার জন্যেই কি আমরা ঈশ্বরকে চাই নে ? তাকেও কি আবার একটা তৃতীয় সামগ্রী করে আমাদের বিষয়সম্পত্তির সঙ্গে জোড়া দিয়ে বসব ? অারও জঞ্জাল বাড়াব ? কিন্তু, আমাদের আত্মা যে ব্রহ্মকে চায় তার মানেই হচ্ছে, সে বছর দ্বারা পীড়িত এইজন্য সে এককে চায়, সে চঞ্চলের দ্বারা বিক্ষিপ্ত এইজন্য সে ধ্রুবকে চায়— নৃতন-কিছুকে বিশেষ-কিছুকে চায় না। যিনি ‘নিতোহনিত্যানাম, সমস্ত অনিত্যের মধ্যে নিত্য হয়েই আছেন, সেই নিত্যকে উপলব্ধি করতে চায়। যিনি ‘রসানাং রসতমঃ’, সমস্ত রসের মধ্যেই যিনি রসতম, তাকেই চায়— আর-একটা কোনো নূতন রসকে . . . . ווה החל সেইজন্যে আমাদের প্রতি এই সাধনার উপদেশ ষে : ঈশাবাস্তমিদং সৰ্বং যৎকিঞ্চ জগত্যাং জগৎ । জগতে যা-কিছু আছে তারই সমস্তকে ঈশ্বরের দ্বারাই আবৃত করে দেখবে— আর-একটা কোনো অতিরিক্ত