পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমগ্র এক \oe & দেহটিকে নিরস্তুর একটি সমগ্রদেহ করে বেঁধে রাখছে। এ এমন করে কাজ করছে যাতে আমাদের শরীরের ‘আজ’ই একান্ত হয়ে না দাড়ায়, শরীরের ‘কাল’ও আপনার দাবি রক্ষা করতে পারে— তেমনি আমাদের শরীরের একাংশই একান্ত হয়ে না ওঠে, শরীরের অন্যাংশের সঙ্গে তার এমন সম্বন্ধ থাকে যাতে পরস্পর পরস্পরের সহায় হয় । পায়ের জন্তে হাত মাথা পেট সকলেই খাটছে আবার হাত মাথা পেটের জন্যেও প৷ খেটে মরছে। এই শক্তি হাতের স্বার্থকে পায়ের স্বার্থ করে রেখেছে, পায়ের স্বার্থকে হাতের স্বার্থ করে রেখেছে । এইটিই হচ্ছে শরীরের পক্ষে মঙ্গল । তার প্রত্যেক প্রত্যঙ্গ সমস্ত অঙ্গকে রক্ষা করছে, সমগ্র অঙ্গ প্রত্যেক প্রত্যঙ্গকে পালন করছে। অতএব, শক্তি আয়ুরূপে শরীরকে অনাগত পরিণামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এবং মঙ্গলরূপে তাকে অখণ্ড সমগ্রতায় বন্ধন করছে, ধারণ করছে। এই শক্তির প্রকাশ শুধু যে মঙ্গলে তা তো নয়, কেবল যে তার দ্বার যন্ত্রের মতো রক্ষাকার্য চলে যাচ্ছে তা নয়, এর মধ্যে আবার একটি আনন্দ রয়েছে। আয়ুর মধ্যে আনন্দ আছে। সমগ্র শরীরের মঙ্গলের মধ্যে, স্বাস্থ্যের মধ্যে, একটি আনন্দ আছে। এই আনন্দকে ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায়, একটি হচ্ছে জ্ঞান এবং আর-একটি প্রেম। আমার মধ্যে যে-একটি সমগ্রতা আছে তার সঙ্গে জ্ঞান আছে— সে জানছে আমি হচ্ছি আমি, আমি হচ্ছি একটি সম্পূর্ণ আছি। শুধু জানছে নয়, এই জানায় তার একটি প্রতি আছে। এই একটি সম্পূর্ণতাকে সে এত ভালোবাসে যে এর কোনো ক্ষতি সে সহ করতে পারে না । এর মঙ্গলে তার লাভ, এর সেবায় তার আনন্দ । * তা হলে দেখতে পাচ্ছি, শক্তি একটি সমগ্রতাকে বাধছে রাখছে ३ e