পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমগ্র এক o: Woe & আনন্দ ; বিচ্ছিন্নতার মধ্যেই দুঃখ, দুর্বলতা । তাই উপনিষৎ বলেছেন : ভূমৈব স্থখং নাল্পে সুখমস্তি । বিশ্বব্যাপী সমগ্রতার মধ্যে ব্রন্ধের শক্তি কেবল যে সত্যের সত্য ও মঙ্গলের মঙ্গল -রূপে আছে তা নয়, সেই শক্তি অপরিমেয় আনন্দরূপে বিরাজ করছে। এই বিশ্বের সমগ্রতাকে ব্ৰহ্ম জ্ঞানের দ্বারা পূর্ণ করে এবং প্রেমের দ্বারা আলিঙ্গন করে রয়েছেন। তার সেই জ্ঞান এবং সেই প্রেম চিরনিবারধারারূপে জীবাত্মার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চলেছে, কোনোদিন সে আর নিঃশেষ হল না । এইজন্যেই পরমাত্মার সঙ্গে আত্মার যে মিলন, সে জ্ঞান প্রেম কর্মের মিলন। সেই মিলনই আনন্দের মিলন। সম্পূর্ণের সঙ্গে মিলতে গেলে সম্পূর্ণতার দ্বারাই মিলতে হবে— তবেই আমাদের যা-কিছু আছে সমস্তই চরিতার্থ হবে। ১৯ চৈত্র আত্মপ্রত্যয় আমার দেহ প্রাণ চৈতন্য বুদ্ধি হৃদয় সমস্তটা নিয়ে আমি একটি এক । এই-যে সমগ্রতা, সম্পূর্ণতা, এ একটি এক বস্তু বলেই নিজেকে জানে এবং নিজেকে ভালোবাসে। শুধু তাই নয়, এইজন্য সর্বত্রই সে এককে সন্ধান করে এবং এককে পেলেই আনন্দিত হয়। বিচ্ছিন্নতা তাকে ক্লেশ দেয়, সে সম্পূর্ণতাকে চায় । বস্তুত, সে যা-কিছু চায় তা কোনো-না-কোনো রূপে এই সম্পূর্ণতার সন্ধান। সে নিজের একের সঙ্গে চারি দিকের বহুকে বেঁধে নিয়ে ক্ষুদ্র এককে বৃহত্তর এক করে তুলতে চায়। ،پارل