পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মপ্রত্যয় \9a') তম সত্যতম বিকাশ হচ্ছে পরমাত্মার প্রতি প্রেম— সেই ভূমানন্দেই আত্মার আনন্দের পরিণতি । আমাদের আত্মপ্রেমের চরম মেই পরমাত্মায় আনন্দ ৷ তদেতৎ প্রেয়ঃ পুত্রাৎ প্রেয়ো বিত্তাৎ প্রেয়োহদ্যস্থাৎ সর্বস্মাৎ অস্তরতর যদয়মাত্মা । ২১ চৈত্র ধীর যুক্তাত্মা এই কথাটিকে আলোচনা করে কেবল কঠিন করে তোলা হচ্ছে। অথচ এইটিই আমাদের সকলের চেয়ে সহজ কথা— একেবারে গোড়াকার প্রথম কথা এবং শেষের শেষ কথা । আমরা নিজের মধ্যে একটি এক পেয়েছি এবং এককেই আমরা বহুর মধ্যে সর্বত্রই খুজে বেড়াচ্ছি, এমন-কি, শিশু যখন নানা জিনিসকে ছয়ে শুকে খেয়ে দেখবার জন্তে চারি দিকে হাত বাড়াচ্ছে তখনও সে সেই এককেই খুজে বেড়াচ্ছে। আমরাও শিশুরই মতো নানা জিনিসকে ছুচ্ছি, শুকছি, মুখে দিচ্ছি, তাকে আঘাত করছি, তার থেকে আঘাত পাচ্ছি, তাকে জমাচ্ছি এবং তাকে আবর্জনার মতো ফেলে দিচ্ছি— এই-সমস্ত পরীক্ষা, এই-সমস্ত চেষ্টার ভিতর দিয়ে সমস্ত দুঃখে, সমস্ত লাভে, আমরা সেই এককেই চাচ্ছি। আমাদের জ্ঞান একে পৌছতে চায়, আমাদের প্রেম একে মিলতে চায়। এ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো কথা নেই। আনন্দাদ্ধোব খম্বিমানি ভূতানি জায়ন্তে। আনন্দ আপনাকে নানা রূপে নানা কালে প্রকাশ করছেন, আমরা সেই নানা রূপকেই কেবল দেখছি, কিন্তু আমাদের আত্মা দেখতে চায় নানার ভিতর দিয়ে সেই মূল এক আনন্দকে। যতক্ষণ সেই মূল আনন্দের কোনো আভাস না দেখি ততক্ষণ কেবলই বস্তুর পর বস্তু, ঘটনার পর ঘটনা, আমাদের ক্লান্ত