পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

կ শান্তিনিকেতন מו צס\ করে, ক্লিষ্ট করে, আমাদের অন্তহীন পথে ঘুরিয়ে মারে। আমাদের বিজ্ঞান সমস্ত বস্তুর মধ্যে এক সত্যকে খুজছে, আমাদের ইতিহাস সমস্ত ঘটনার মধ্যে এক অভিপ্রায়কে খুজছে, আমাদের প্রেম সমস্ত সত্তার মধ্যে এক আনন্দকে খুজছে। নইলে সে কোনোখানেই বলতে পারছে না— ঔ । বলতে পারছে না— হা, পাওয়া গেল । আমরা যখন একটা অন্ধকার ঘরে আমাদের প্রার্থনীয় বস্তুকে খুঁজে বেড়াই তখন চার দিকে মাথা ঠুকতে থাকি, উচট খেতে থাকি, তখন কত ছোটো জিনিসকে বড়ো মনে করি, কত তুচ্ছ জিনিসকে বহুমূল্য বলে মনে করি, কত জিনিসকে অঁাকড়ে ধরে বলি এই তো পেয়েছি”— তার পরে দেখি মুঠোর মধ্যেই সেটা গুড়িয়ে ধুলো হয়ে যায়। আসল কথা, এই অন্ধকারে আমি জানিই নে আমি কাকে চাচ্ছি। কিন্তু, যেমনি একটি আলো জালা হয় অমনি এক মুহূর্তেই সমস্ত সহজ হয়ে যায়— অমনি এত দিনের এত খোজা, এত মাথা ঠোকার পরে এক পলকেই জানতে পারি যে, যা-সমস্ত আমার হাতে ঠেকছিল তাই আমার প্রার্থনীয় জিনিস নয়। যে মা এই সমস্ত ঘরটি সাজিয়ে চুপ করে বসে ছিলেন তিনিই আমার যথার্থ কামনার ধন। যেমনি আলোটি জলল অমনি সব জিনিস ছেড়ে দু হাত বাড়িয়ে ছুটে তার কাছে গেলুম। অথচ মাকে পাবামাত্রেই অমনি তার সঙ্গে সব জিনিসকেই একত্রে পাওয়া গেল, কোনো বিশেয জিনিস স্বতন্ত্র হয়ে আমার পথের বাধারূপে আমাকে আটক করলে না । মাকে জানবামাত্র মায়ের এই সাজানো ঘরটি অামারই হয়ে গেল। তখন ঘরের সমস্ত আসবাবপত্রের মধ্যে আমার সঞ্চরণ অবাধ হয়ে উঠল, তখন যে জিনিসের ঠিক যে ব্যবহার তা আমার আয়ত্ত হয়ে গেল, তখন জিনিসগুলো আমাকে অধিকার করল না, আমিই তাদের অধিকার করলুম। তাই বলছিলুম, কী জ্ঞানে কী প্রেমে কী কর্মে সেই এককে, সেই