পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रृंख्। ७ जक्ष्छ מאכט জায়গায় দেখা যায়, কিন্তু নিজেকে তার হাতে সমর্পণ করে দেবার সাধনা অল্পই দেখতে পাই। এখানেও মানুষের যেন একটা কৃপণতা আছে । সে নিজেকে নিজের হাতে রাখতে চায়, ছাড়তে চায় না । একটা-কোনো কঠোর ব্রতে সে প্রতিদিন নিজের শক্তির পরিচয় পায়। প্রতিদিন একটা হিসাব পেতে থাকে যে, নিয়ম দৃঢ় রেখে এতখানি চলা হল । এতেই তার একটা বিশেষ অভিমানের আনন্দ আছে। নিজের জীবনকে ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করে দেবার এ মানে নয় যে আমি যা করছি সমস্তই তিনি করছেন এইটি কল্পনা করা । করছি কাজ আমি, অথচ নিচ্ছি র্তার নাম, এবং দায়িক করছি তাকে— এমন ফুর্বিপাক না যেন ঘটে। ঈশ্বরের হাওয়ার কাছে জীবনটাকে একেবারে ঠিক করে ধরে রাখতে হবে। সেটিকে সম্পূর্ণ মানতে হবে। কাৎ হয়ে সেটিকে পাশ কাটিয়ে চললে হবে না। র্তার আহবান তার প্রেরণাকে পুরাপুরি গ্রহণ করবার মুখে জীবন প্রতি মুহূর্তে যেন আপনাকে প্রসারিত করে রাখে । ‘কী ইচ্ছা প্রভু, কী আদেশ’ এই প্রশ্নটিকে জাগ্রত করে রেখে সে যেন সর্বদা প্রস্তুত হয়ে থাকে। যা শ্রেয় তা যেন সহজেই তাকে চালায় এবং শেষ পর্যন্তই তাকে নিয়ে যায়। জানামি ধর্মং ন চ মে প্রবৃত্তি: জানাম্যধর্মং ন চ মে নিবৃত্তিঃ । । ত্বয়া হৃষীকেশ হৃদিস্থিতেন যথা নিযুক্তোহস্মি তথা করোমি। এ শ্লোকের মানে এমন নয় যে, আমি ধর্মেই থাকি আর অধর্মেই থাকি তুমি আমাকে যেমন চালাচ্ছ আমি তেমনি চলছি। এর ভাব এই যে, আমার প্রবৃত্তির উপরেই যদি আমি ভার দিই তবে সে আমাকে