পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন سالاك অস্তরে থাকলে তবেই তাকে আমি যথার্থভাবে নমস্কার করতে পারি। আমি সমস্তই তার কাছ থেকে নিচ্ছি, পাচ্ছি, তৰু তাকে নমস্কার করতে পারছি নে ; আমার মন শক্ত হয়েই আছে, মাথা উদ্ধত হয়েই রয়েছে। কেননা, তার সঙ্গে আমার যে যোগ সেটা আমার বোধে খুজে পাচ্ছি নে | 警 তাই আমাদের প্রার্থনা এই যে : নমস্তেহস্তু। তোমাতে আমাদের নমস্কারটি যেন হয়। সেটি যেন নম্রতায় আত্মসমর্পণে পরিপূর্ণ হয়ে তোমার পায়ের কাছে এসে নামে। আমার সমস্ত জীবন যেন তোমার প্রতি নমস্কার-রূপে পরিণত হয় । * তোমার সঙ্গে আমার সম্বন্ধই এই যে, তুমি আমাকে দেবে আর আমি নমস্কারে নত হয়ে পড়ে তা গ্রহণ করব । এই নমস্কারটি অতি মধুর। এ জলভারনত মেঘের মতে, ফলভারনত শাখার মতে, রসে ও মঙ্গলে পরিপূর্ণ। এই নমস্কারের দ্বারা জীবন কল্যাণে ভরে ওঠে, সৌন্দর্ষে উপচে পড়ে। এই নমস্কার যে কেবল নিবিড় মাধুর্য তা নয়, এ প্রবল শক্তি। এ যেমন অনায়াসে গ্রহণ করে ও বহন করে, উদ্ধত অহংকরে তেমন ক’রে পারে না। একে কেউ পরাভূত করতে পারে না। জীবন এই নমস্কারের দ্বারা সমস্ত আঘাত ক্ষতি বিপদ ও মৃত্যুর উপরে অতি সহজেই জয়ী হয় । এই নমস্কারের দ্বারা জীবনের সমস্ত ভার এক মুহূর্তে লঘু হয়ে যায়, পাপ তার উপর দিয়ে মুহূর্তকালীন বন্যার মতো চলে যায়, তাকে ভেঙে দিয়ে যেতে পারে না। এইজন্য প্রতিদিনই প্রার্থনা করি : নমস্তেহস্ত। তোমাতে আমার নমস্কার হোক । সুখ জামুক দুঃখ জাস্থক ; নমস্তেহস্ত। মান আস্থক অপমান আস্থক : নমস্তেহস্ত। তুমি শিক্ষা দিচ্ছ এই জেনে : নমস্তেহস্তু। তুমি রক্ষা করছ এই জেনে : নমস্তেহস্ত। তুমি নিত্য নিয়তই আমার কাছে জাছ এই জেনে : নমস্তেহস্ত। তোমার গৌরবেই আমার একমাত্র