পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নমস্তেহস্ত \}}o গৌরব এই জেনেই : নমস্তেহস্ত। অৰ্থও ব্রহ্মাণ্ডের অনন্তকালের অধীশ্বর তুমিই পিতা নোহলি এই জেনেই : নমস্তেহস্ত নমস্তেহস্ত। বিষয়কেই আশ্রয় বলে জানা ঘুচিয়ে দাও ; নমস্তেহস্ত। সংসারকে প্রবল বলে জানা ঘুচিয়ে দাও ; নমস্তেহস্ত। আমাকেই বড়ো বলে জানা ঘুচিয়ে দাও ; নমস্তেহস্তু। তোমাকেই যথার্থরূপে নমস্কার করে চিরদিনের মতো পরিত্রাণ লাভ করি । ২৬ চৈত্র মন্ত্রের বাধন বীণার কোনো তার পিতলের, কোনো তার ইস্পাতের, কোনো তার মোটা, কোনো তার সরু, কোনো তার মধ্যম স্বরে বঁাধবার, কোনো তার পঞ্চমে। কিন্তু, তৰু বাধতে হবে, তার থেকে একট-কোনো বিশুদ্ধ স্বর জাগিয়ে তুলতে হবে—নইলে সব মাটি। জগতে ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের কোনো বিশেষ আপন সম্বন্ধ স্থাপন করতে হবে। একটা-কোনো বিশেষ স্বর বাজাতে হবে । সুর্য চন্দ্র তার ওষধি বনস্পতি সকলেই এই বিশাল বিশ্বসংগীতে নিজের একটা-না-একটা বিশেষ স্বর যোগ করে দিয়েছে। মানুষের জীবনকেও কি এই চির-উদ্‌গীত সংগীতে যোগ দিতে হবে না ? কিন্তু, এখনও এই জীবনটাকে তারের মতো বাধি নি। এর মধ্যে এখনও কোনো গানের আবির্ভাব হয় নি। এ জীবন স্বত্ৰবিচ্ছিন্ন বিচিত্র তুচ্ছতার মধ্যে অকৃতাৰ্থ হয়ে আছে। যেমন করেই পারি, এর একটিকোনো নিত্য স্বরকে ধ্রুব করে তুলতে হবে। তারকে বধিব কেমন করে ? H 姆 ঈশ্বরের বীণায় অনেকগুলি বাধবার সম্বন্ধ আছে, কার মধ্যে নিজের