পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भ८ञ्चब्र बैंiथम *৩২১ সেই-ষে স্বরের আদশটি তিনি দেখিয়ে গেছেন সেই খাটি আদর্শের সঙ্গে একান্ত যত্বে মিশিয়ে তারটি বাধতে হবে, যাতে আর ভাবতে না হয়, যাতে মুখে দুঃখে প্রলোভনে আপনিই সে গেয়ে ওঠে : পিতা নোহসি । হে পিতা, আমি যে তোমার পুত্র এই স্বরটি ঠিকমত প্রকাশ করা বড়ো কম কথা নয়। কেননা, আত্মা বৈ জায়তে পুত্রঃ । পুত্র ষে পিতারই প্রকাশ। সস্তানের মধ্যে পিতাই যে স্বয়ং সন্তত হন। তোমারই অপাপবিদ্ধ আনন্দময় পরিপূর্ণতাকে যদি ব্যক্ত করে না তুলতে পারি তবে তো এই সুর বাজবে না যে "পিতা নোহসি’ । * . সেইজন্যেই এই আমার প্রতিদিনের একান্ত প্রার্থনা হোক : পিতা নোবোধি । নমস্তেহস্তু। ২৭ চৈত্র প্রাণ ও প্রেম ‘পিতা নোহসি’ এই মন্ত্রটি আমরা জীবনের মধ্যে গ্রহণ করব। কার কাছ থেকে গ্রহণ করব ? যিনি পিতা তার কাছ থেকেই গ্রহণ করব। তাকে বলব, ‘তুমি যে পিতা সে তুমিই আমাকে বুঝিয়ে দাও। আমার জীবনের সমস্ত ইতিহাসের ভিতর দিয়ে, সমস্ত স্থখদুঃখের ভিতর দিয়ে বুঝিয়ে দাও । , পিতার সঙ্গে আমাদের যে সম্বন্ধ সে তো কোনো তৈরি করা সম্বন্ধ নয়। রাজার সঙ্গে প্রজার, প্রভুর সঙ্গে ভূত্যের একটা পরস্পর বোঝাপড়া আছে, সেই বোঝাপড়ার উপরেই তাদের সম্বন্ধ । কিন্তু, পিতার সঙ্গে পুত্রের সম্বন্ধ বাহিক নয়, সে একেবারে আদিতম সম্বন্ধ। সে সম্বন্ধ পুত্রের অস্তিত্বের মূলে। অতএব, এই গভীর আত্মীয়সান্ধ কোনো বাৰ

  • >