পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gi여 \8 C3 9:R\9 একঘরে অন্ধ মন কেবল আমারই অন্ধকারাগারে পড়ে দিনরাত্রি কেঁদে মরত । । অামার মনপ্রাণ অবিচ্ছিন্নভাবে নিখিল বিশ্বের ভিতর দিয়ে সেই অনন্ত কারণের সঙ্গে যোগযুক্ত। প্রতি মুহূর্তেই সেইখান হতে আমি প্রাণ, চৈতন্য, ধীশক্তি লাভ করছি। এই কথাটিকে কেবল বিজ্ঞানে জানা নয়, এই কথাটিকে ভক্তি-দ্বারা উপলব্ধি করতে পারলে তবে ওই মন্ত্র সার্থক হবে ‘ওঁ পিতা নোহসি । আমার প্রাণের মধ্যে বিশ্বপ্রাণ, মনের মধ্যে বিশ্বমন আছে বললে এত বড়ো কথাটাকে সম্পূর্ণ গ্রহণ করা হয় না, একে বাইরেই বসিয়ে রাখা হয়। আমার প্রাণের মধ্যে পিতার প্রাণ, আমার মনের মধ্যে পিতার মন আছে এই কথাটি নিজেকে । ভালো করে বলাতে হবে। পিতার দিক থেকে কেবল যে আমাদের দিকে প্রাণ প্রবাহিত হচ্ছে তা নয়। র্তার দিক থেকে আমাদের দিকে অবিশ্রাম প্রেম সঞ্চারিত হচ্ছে। আমাদের মধ্যে কেবল যে একটা চেষ্টা আছে, গতি আছে তা নয়, একটা আনন্দ আছে। আমরা কেবল বেঁচে আছি, কাজ করছি নয়, আমরা রস পাচ্ছি। আমাদের দেখায় শোনায়, আহারে বিহারে, কাজে কর্মে, মামুষের সঙ্গে নানাপ্রকার যোগে, নানা সুখ, নানা প্রেম। এই রসটি কোথা থেকে পাচ্ছি ? এইটিই কি আমাদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ? এটা কেবল আমার এই একটি ছোটো কারখানাঘরের স্বরঙ্গের মধ্যে অন্ধকারে তৈরি হচ্ছে ? তা নয়। বিশ্বভুবনের মধ্যে সমস্তকে পরিপূর্ণ করে তিনি আনন্দিত। জলে স্থলে আকাশে তিনি আনন্দময়। তার সেই আনন্দকে, সেই প্রেমকে তিনি নিয়তই প্রেরণ করছেন ; সেইজন্তেই আমি বেঁচে থেকে আনন্দিত, কাজ করে আনন্দিত, জেনে আনন্দিত, মান্থযের সঙ্গে নানা সম্বন্ধে আনন্দিত। তারই প্রেমের তরঙ্গ আমাকে কেবলই স্পর্শ