পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন 8 אסו করছে, আঘাত করছে, সচেতন করছে। এই-যে অহোরাত্র সেই ভূমার প্রেম নানা বর্ণে গন্ধে গীতে, নান ক্ষেহে সখ্যে শ্রদ্ধায় জোয়ারের বেগের মতো আমাদের মধ্যে এসে পড়ছে, এই বোধের দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যেন আমরা বলি : ওঁ পিতা নোহসি । কেবলই তিনি প্রাণে ও প্রেমে আমাকে ভরে দিচ্ছেন, এই অনুভূতিটি যেন আমরা না হারাই। এই অনুভূতি র্যাদের কাছে অত্যন্ত উজ্জল ছিল তারাই বলেছেন : কোহেবান্তাং কঃ প্রাণ্যাৎ যদেষ আকাশ আনন্দো ন স্যাৎ । এষহেবানন্দয়াতি। কেই বা কিছুমাত্র শরীরচেষ্ট৷ প্রাণের চেষ্টা করত আকাশে যদি আনন্দ না থাকতেন ! এই আনন্দই সকলকে আনন্দ দিচ্ছেন। 4. २४ ६कख ভয় ও আনন্দ ‘ওঁ পিতা নোহসি’ এই মন্ত্রে দুটি ভাবের সামঞ্জস্য আছে। এক দিকে পিতার সঙ্গে পুত্রের সাম্য আছে, পুত্রের মধ্যে পিতা আপনাকেই প্রকাশ করেছে। আর-এক দিকে পিতা হচ্ছেন বড়ো, পুত্র ছোটো। এক দিকে অভেদের গৌরব, আর-এক দিকে ভেদের প্রণতি। পিতার সঙ্গে অভেদ নিয়ে আমরা আনন্দ করতে পারি, কিন্তু স্পর্ধা করতে পারি নে। আমার যেখানে সীমা আছে সেখানে আমাকে মাথা নত করতে হবে । কিন্তু, এই নতির মধ্যে অপমান নেই। কেননা, তিনি কেবলমাত্র আমার বড়ো নন, তিনি আমার আপন, আমার পিতা। তিনি আমারই বড়ে, আমি তারই ছোটাে। তাকে প্রণাম করে আমি আমার বড়ো আমাকেই প্ৰণাম করি। এর মধ্যে বাইরের কোনো তাড়না নেই,