পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उग्न ७ व्यांनमा \4 בס: জবৰ্দ্দস্তি নেই। যে বড়োর মধ্যে আমি আছি, যে বড়োর মধ্যেই পরিপূর্ণ সার্থকতা, তাকে প্রণাম করাই একমাত্র স্বাভাবিক প্রণাম। কিছু পাব বলে প্রণাম নয়, কিছু দেব বলে প্রণাম নয়, ভয়ে প্রণাম নয়, জোরে প্রণাম নয়। আমারই অনন্ত গৌরবের উপলব্ধির কাছে প্রণাম । এই প্রণামটির মহত্ত্ব অনুভব করেই প্রার্থনা করা হয়েছে : নমস্তেহস্ত । তোমাতে আমার নমস্কার সত্য হয়ে উঠুক। র্তাকে ‘পিতা নোহসি’ ব’লে স্বীকার করলে তার সঙ্গে আমাদের সম্বন্ধের একটি পরিমাণ রক্ষা হয়। র্তাকে নিয়ে কেবল ভাবরসে প্রমত্ত হবার যে একটি উচ্ছৃঙ্খল আত্মবিস্মৃতি আছে সেটি আমাদের আক্রমণ করতে পারে না। সন্ত্রমের দ্বারা আমাদের আনন্দ গাম্ভীর্য লাভ করে, অচঞ্চল গৌরব প্রাপ্ত হয়। প্রাচীন বেদ সমস্ত মানবসম্বন্ধের মধ্যে কেবল এই পিতার সম্বন্ধটিকেই ঈশ্বরের মধ্যে বিশেষ ভাবে উপলব্ধি করেছেন। মাতার সম্বন্ধকেও সেখানে তারা স্থান দেন নি ।। কারণ, মাতার সম্বন্ধেও এক দিকে যেন ওজন কম আছে, এক দিকে সম্পূর্ণতার অভাব আছে। মাতা সস্তানের স্থখ দেখেন, আরাম দেখেন ; তার ক্ষুধাতৃপ্তি করেন, তার শোকে সাস্তুনা দেন, তার রোগে শুশ্ৰুষা করেন । এ-সমস্তই সন্তানের উপস্থিত অভাবনিবৃত্তির প্রতিই লক্ষ করে। পিতার দৃষ্টি সস্তানের সমস্ত জীবনের বৃহৎ ক্ষেত্রে। তার সমস্ত জীবন সমগ্রভাবে সার্থক হবে, এই তিনি কামনা করেন। এইজন্তই সস্তানের আরাম ও স্থখই তার কাছে একান্ত নয়। এইজন্ত তিনি সন্তানকে দুঃখও দেন। তাকে শাসন করেন, তাকে বঞ্চিত করেন, যাতে নিয়ম লঙ্ঘন করে ভ্রষ্টত প্রাপ্ত না হয় সে দিকে তিনি সর্বদা সতর্ক থাকেন । i தரர் . . .