পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उछष्ट्र ७ अनन्त ళిని সীমা ঠিক আছে, সর্বত্র সকলের পরিমাণ রক্ষা হচ্ছে। আমাদেরও যে দিকটা চলবার দিক, কী বাক্যে কী ব্যবহারে, সেই দিকে পিতা দাড়িয়ে আছেন : মহম্ভয়ং বজ্ৰমুদ্যতম। সে দিকে কোনো ব্যত্যয় নেই, কোনো স্থলনের ক্ষমা নেই, কোনো পাপের নিষ্কৃতি নেই। অতএব, আমরা যখন বলি ‘পিতা নোহসি’ তার মধ্যে আদরের দাবি নেই, উন্মত্ততার প্রশ্রয় নেই। অত্যন্ত সংযত আত্মসংবৃত বিনম্র নমস্কার অাছে। যে বলে ‘পিতা নোহসি’ সে তার সামনে শাস্তোদগম্ভ উপরতস্তিতিক্ষুঃ সমাহিতঃ’ হয়ে থাকে। সে নিজেকে প্রত্যেক ক্ষুদ্র অধৈৰ্য ক্ষুদ্র আত্মবিস্মৃতি থেকে রক্ষা করে চলতে থাকে। २२ ६ळख নিয়ম ও মুক্তি মুখ জিনিসটা কেবল আমার, কল্যাণ জিনিসটা সমস্ত জগতের । পিতার কাছে যখন প্রার্থনা করি ‘ষদভদ্রং তন্ন আস্থব’, ‘যা ভালো তাই আমাদের দাও”, তার মানে হচ্ছে সমস্ত জগতের ভালো আমাদের মধ্যে প্রেরণ করে। কারণ, সেই ভালোই আমার পক্ষেও সত্য ভালো, আমার পক্ষেও নিত্য ভালো। যা বিশ্বের ভালো তাই আমার ভালো, কারণ, যিনি বিশ্বের পিতা তিনিই আমার পিতা। যেখানে কল্যাণ নিয়ে অর্থাৎ বিশ্বের ভালো নিয়ে কথা সেখানে অত্যন্ত কড়া নিয়ম। সেখানে উপস্থিত মুখস্থবিধা কিছুই খাটে না ; সেখানে ব্যক্তিবিশেষের আরাম-বিরামের স্থান নেই। সেখানে দুঃখও শ্ৰেয়, মৃত্যুও বরণীয়। যেখানে বিশ্বের ভালো নিয়ে কথা সেখানে সমস্ত নিয়ম একেবারে শেষ পর্যন্ত মানতেই হবে। সেখানে কোনো বন্ধন কোনো দায়কেই