পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭રાઝ 藝 শাস্তিনিকেতন অস্বীকার করতে পারব না। # আমাদের পিতা এইখানেই ‘মহাভয়ং বজ্ৰমুদ্যতম। এইখানেই তিনি পুত্রকে এক চুল প্রশ্রয় দেন না। বিশ্বের ভাগ থেকে একটি কণা হরণ করেও তিনি কোনো বিশেষ পুত্রের পাতে দেন না। এখানে কোনো স্তব-স্তুতি অকুনয়-বিনয় খাটে না। তবে মুক্তি কাকে বলে ? এই নিয়মকে পরিপূর্ণভাবে আত্মসাৎ করে নেওয়াকেই বলে মুক্তি 1 নিয়ম যখন কোনো জায়গায় আমার বাইরের জিনিস হবে না, সম্পূর্ণ আমার ভিতরকার জিনিস হবে, তখনই সেই অবস্থাকে বলব মুক্তি। এখনও নিয়মের সঙ্গে আমার সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্ত হয় নি। এখনও চলতে ফিরতে বাধে। এখনও সকলের ভালোকে আমার ভালো বলে অনুভব করি নে। সকলের ভালোর বিরুদ্ধে আমার অনেক স্থানেই বিদ্রোহ আছে। এইজন্যে পিতার সঙ্গে আমার সম্পূর্ণ মিলন হচ্ছে না, পিতা আমার পক্ষে রুদ্র হয়ে আছেন। তার শাসনকেই আমি পদে পদে অনুভব করছি, র্তার প্রসন্নতাকে নয়। পিতার মধ্যে পুত্রের সম্পূর্ণ মুক্তি হচ্ছে না। অর্থাৎ, মঙ্গল এখনও আমার পক্ষে ধর্ম হয়ে ওঠে নি। যার ধর্ম যেটা সেটা তার পক্ষে বন্ধন নয়, সেইটেই তার আনন্দ । চোখের ধর্ম দেখা ; তাই দেখাতেই চোখের আনন্দ, দেখায় বাধা পেলেই তার কষ্ট । মনের ধর্ম মনন করা ; মননেই তার আনন্দ, মননে বাধা পেলেই তার छूःथं । বিশ্বের ভালো যখন আমার ধর্ম হয়ে উঠবে তখন সেইটেতে আমার আনন্দ এবং তার বাধাতেই আমার পীড়া হবে। n মায়ের ধর্ম যেমন পুত্রস্নেহ ঈশ্বরের ধর্মই তেমনি মঙ্গল । সমস্ত জগৎচরাচরের ভালো করাই তার স্বভাব, তাতেই তার আনন্দ ।