পাতা:শান্তিনিকেতন (১৯৩৪ প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন 8ס\סא কতটা খাটি হলুম তা তিনিই জানবেন— মানুষকে যদি জানাবার ইচ্ছা মনের মধ্যে আসে তবে কোন দিন জাল দলিল বানিয়ে তাকে মৃদ্ধ মানুষের হাটে বিকিয়ে দিয়ে বসে থাকব । ওইখানে দশকে আসতে দিয়ে না, নিজেকে খুব করে বাচাও । তুমি যে তাকে চাও এই আকাঙ্ক্ষাটির দ্বারা তুমি তাকেই লাভ করতে চেষ্টা করে, এর দ্বারা মানুষকে ভোলাবার ইচ্ছা যেন তোমার মনের এক কোণেও না আসে । তোমার এই সাধনায় সবাই যদি তোমাকে পরিত্যাগ করে তাতে তোমার মঙ্গলই হবে, কারণ ঈশ্বরের আসনে সবাইকে বসাবার প্রলোভন তোমার কেটে যাবে। ঈশ্বরকে যদি কোনোদিন পাও, তবে কখনো তাকে একলা নিজের মধ্যে ধরে রাখতে পারবে না। কিন্তু, সে একটি কঠিন সময়। দশের মধ্যে এসে পড়লেই জল মেশাবার লোভ সামলানো শক্ত হয়, মানুষ তখন মানুষকে চঞ্চল করে, তখন খাটি ভগবানকে চালাতে পারি নে, লুকিয়ে লুকিয়ে খানিকটা নিজেকে মিশিয়ে দিয়ে বসে থাকি। ক্রমে নিজের মিশালটাই বেড়ে উঠতে থাকে, ক্রমে সত্যের বিকারে অমঙ্গলের স্বষ্টি হয় । অতএব, পিতাকে যেদিন পিতা বলতে পারব সেদিন পিতাই যেন সে কথা আমার মুখ থেকে শোনেন, মানুষ যদি শুনতে পায় তো যেন পাশের ঘর থেকেই শোনে। 5ੋכס\ বর্ষশেষ যাওয়া আসায় মিলে সংসার। এই দুটির মাঝখানে বিচ্ছেদ নেই। বিচ্ছেদ আমরা মনে মনে কল্পনা করি। স্বষ্টি স্থিতি প্রলয় একেবারেই এক হয়ে আছে । সর্বদাই এক হয়ে আছে। সেই এক হয়ে থাকাকেই বলে জগৎসংসার ।